(০১)
তোমার জন্য অপেক্ষা
-বিচিত্র কুমার

তোমার হাতের মিষ্টি ছোঁয়া,
যে একটুখানি উষ্ণতা দিয়ে
আমার সমস্ত শীতলতায় রং এনে দেয়,
তোমার হাসি—
যে অন্ধকার রাতে আলোর মতো ঝলমল করে।

কতদিন তোমার অপেক্ষায়,
একা একা প্রহর গুনেছি,
একটা দিনের শেষে,
যেখানে তোমার পদধ্বনি শোনা যাবে,
এমন অঙ্গীকারে জড়িয়ে থেকেছি।

তোমার কণ্ঠস্বর যেন
একটি গান,
যে গান হৃদয়ের সমস্ত বেদনা ভুলিয়ে দেয়,
তোমার নাম উচ্চারণের প্রতিটি মুহূর্ত—
একটি নতুন পৃথিবী বয়ে আনে আমার ভেতর।

তুমি আসবে, আমি জানি,
দুপুরের তপ্ত রোদও সেদিন ঠান্ডা হয়ে যাবে,
তুমি আসবে, আমি জানি,
চাঁদের আলোও ভীষণ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে,
আমার সমস্ত আকাশে শুধু তুমি থাকবে,
তুমি ছাড়া কিছু থাকবে না।

এই দীর্ঘ অপেক্ষায়
জীবন পেরিয়ে গেছে,
তোমার ফিরে আসার আশা—
যেমন একটি নদী,
যে সমুদ্রে গিয়ে মিশে যাবে একদিন।

তুমি আসবে, আমায় বলবে,
“এখন আর অপেক্ষা নয়,
এখন তুমি আমার, আমি তোমার।”
তোমার হাতটি ধরে
আমার সমস্ত দুঃখ, সমস্ত বেদনা
খুব সহজে মুছে যাবে।
তুমি আসবে, আমি জানি,
তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে
অতীতের সব সময় হারিয়ে যাবে,
শুধু তুমি, আমি এবং আমাদের প্রেম থাকবে,
যে প্রেম কখনো ম্লান হবে না।

(০২)
একটুখানি ফিরে এসো
-বিচিত্র কুমার

তুমি চলে গেলে,
যতটুকু সময় কাটিয়েছি তোমার সাথে,
তার প্রতিটি ক্ষণ এখন শুধু
একটি অসমাপ্ত গল্প হয়ে গেছে।
তোমার চলে যাওয়া—
যে বেদনাকে কখনো শর্তহীনভাবে
গ্রহণ করতে পারিনি,
তবে সময় আমাকে শিখিয়েছে,
এটুকু বেঁচে থাকা যেন একটি যুদ্ধ।

তোমার স্পর্শের প্রতিটি স্মৃতি,
যেমন একটি প্রাচীন মন্দিরের
ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্তম্ভ,
যেখানে একসময় ছিল পূর্ণতা,
এখন নিঃস্ব, শূন্য।
কিন্তু সেই শূন্যতার মধ্যেও
তোমার অস্তিত্বের এক ছায়া মিশে থাকে,
যা আমাকে প্রতিনিয়ত ফিরিয়ে আনে তোমার কাছে।

তুমি কি জানো,
তোমার চলে যাওয়া আমার মনে কী তোলপাড় সৃষ্টি করেছে?
যেন এক ঝড়ে সমস্ত অরণ্য ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়,
যেমন এক তুষারপাতের মধ্যে
আলোর এক বিন্দুও নেই।
তোমার হাতগুলো,
যে হাতগুলো আমাকে প্রতিদিন
পুনর্জীবিত করত,
এখন তাদের স্মৃতি আমার চামড়ায়
রক্ত হয়ে প্রবাহিত।

তুমি চলে যাওয়ার পর
এখনও আমি তোমার কণ্ঠে ডুবে থাকি,
এখনও আমি তোমার স্বপ্নে ভাসি,
তোমার চলে যাওয়ার প্রতিটি মুহূর্তে
আমি আবারও ভালোবাসি তোমায়।
তুমি কি জানো,
তোমার প্রত্যাবর্তন কতটা প্রয়োজন?
একটুখানি, শুধু একটুখানি ফিরে এসো,
আমার বেঁচে থাকা শুধু তোমার হাতের ছোঁয়ার অপেক্ষা।


(০৩)
তোমার ছায়ায় বাঁচি
-বিচিত্র কুমার

তুমি না থাকলে,
আমার পৃথিবী যেন অন্ধকারে ডুবে যায়,
তোমার মুখের সেই মিষ্টি হাসি,
এখন আমার সমস্ত রাতের সঙ্গী হয়ে আছে।
তুমি থাকো,
তাহলে আমি শ্বাস নিতে পারি,
তুমি থাকো,
তাহলে পৃথিবী হালকা হয়ে ওঠে,
তোমার একটুকু চাহনিতে
আমার সমস্ত শ্বাস যেন মধুর হয়ে ওঠে।

তোমার স্পর্শ—
যেন একটি গান,
যে গান রাতের অন্ধকারে
নিঃশব্দে মিশে যায়।
তুমি আসলেই জানো না,
কতটুকু নিঃসঙ্গতায়,
তোমার একটুখানি উপস্থিতি
আমার সমস্ত অস্তিত্বে প্রজ্বলিত হয়,
যেন আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।

তুমি জানো না,
তোমার হাতের আঙুলে
কতবার আমি আঁকেছি আমার ভবিষ্যত,
তোমার চোখের গভীরে
কতবার ডুবে গেছি আমি,
সেখানে যে পৃথিবীটা শুধু আমাদের—
অন্য কোনো পৃথিবী নেই।
তুমি জানো না,
তোমার কণ্ঠে আমি শুনি আমার প্রিয় কবিতার সুর,
তোমার কথায় আমি পাই আমার আত্মার শান্তি।

তুমি,
তুমি ছাড়া আর কেউ নেই,
আমার পৃথিবী শুধু তোমার ছায়ায় বাঁচে,
তুমি না থাকলে,
প্রতিটি দিন অসহ্য, প্রতিটি রাত নিঃস্ব।
তোমার ছায়ায় বাঁচি,
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে জীবন পায়,
আমার পৃথিবী শুধু তোমার আর আমার।
তুমি না থাকলে,
আমার হৃদয়ও অন্ধকারে ডুবে যায়।

(০৪)
চাঁদের আলোয় শীতের প্রেম
-বিচিত্র কুমার

তোমার চোখের ভিতরে একদিন হারিয়ে গিয়েছিলাম,
শীতের রাতের সেই নীল আলোর তলায়,
যেখানে কুয়াশা আর চাঁদের আলো মিলে তৈরি করেছিল
এক আশ্চর্য স্বপ্নলোক।
তোমার ঠোঁটের লালিমা যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা গোলাপ,
যার প্রতিটি পাপড়িতে লেখা প্রেমের চিরন্তন ভাষা।

তোমার হাতের উষ্ণতা, যেন শীতের হিমেল বাতাসে
এক পশলা বসন্তের আগমনী বার্তা।
তোমার ঠোঁটের হাসি, ম্লান চাঁদের উজ্জ্বলতম পূর্ণিমা,
যার এক ঝলকেই আমি অনুভব করি জীবন।
তুমি যখন আমার পাশে হাঁটো,
শীতের জমে থাকা তুষারের উপর দিয়ে
আমাদের ছায়াগুলোও যেন প্রেমের গল্প বলে যায়।

তুমি আমার হৃদয়ে ঢেউ তুলেছো,
যেখানে শীতের নিস্তব্ধতা মিশে গেছে চিরন্তন সুরে।
তোমার উপস্থিতিতে প্রতিটি শীতের সকাল হয়ে ওঠে উষ্ণ,
তোমার অনুপস্থিতি আবার ফিরিয়ে আনে কুয়াশার সাদা চাদর।
তুমি আমার পৃথিবীর সেই উষ্ণতা,
যা শীতের প্রতিটি বরফগলা ধ্বনি দিয়ে বোঝায়—
আমি তোমাকে ছাড়া কিছুই না।

তোমার কণ্ঠস্বরের প্রতিটি কম্পনে শীতের জমাট বাতাস ভেঙে যায়,
তোমার গায়ের ঘ্রাণে পিঠা-পুলির মিষ্টি সুরভি মিশে থাকে।
তুমি আছো বলে এই শীতকালীন রাত্রি,
আমার হৃদয়ে গেয়ে যায় এক অপার প্রেমের গান।
তোমার হাত ধরে আমি পাড়ি দিতে চাই,
শীতের প্রতিটি বরফঢাকা দিন,
তোমার ভালোবাসায় সব ঋতু হোক চিরন্তন।



(০৫)
শীতের প্রথম কুয়াশা
-বিচিত্র কুমার

কুয়াশার চাদরে ঢাকা সকাল,
হিমশীতল বাতাসে ভেজা পাতার মর্মর শব্দ,
তোমার উপস্থিতি যেন সেই প্রথম কুয়াশার আলো,
যা পৃথিবীকে আলিঙ্গন করে জাগিয়ে তোলে।
তুমি আসলে শীতের জমাট খেলা ভেঙে যায়,
তোমার হাসিতে যেন সূর্যের প্রথম রশ্মি,
যা বরফে ঢাকা পাহাড়ের উপর উষ্ণতার রং ছড়িয়ে দেয়।

তোমার চোখের দিকে তাকালে মনে হয়,
প্রকৃতি যেন তোমার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।
তোমার চোখে লুকিয়ে থাকা গভীর কুয়াশার গল্প,
আমার হৃদয়কে হিমেল অথচ উষ্ণ এক অনুভূতিতে ভরিয়ে তোলে।
তোমার হাসিতে লুকিয়ে থাকা সেই উজ্জ্বলতা,
যা শীতকালীন ভোরের মতোই স্নিগ্ধ,
আমার প্রতিটি স্বপ্নে নতুন করে জ্বলে ওঠে।

তোমার হাত ধরে হাঁটতে চাই আমি
কুয়াশা ঢাকা বনের সরু পথে।
তোমার নিঃশ্বাসে মিশে থাকা তিলের খাজার ঘ্রাণে,
আমি প্রতিদিন নতুন করে বেঁচে উঠি।
তুমি আছো বলে প্রতিটি শীতের বেলা,
একটি গল্পের মতো সুন্দর,
যার প্রতিটি অধ্যায়ে লেখা আমাদের ভালোবাসার কথা।

তুমি আমার শীতের উষ্ণতার একমাত্র উৎস,
তোমার প্রেমে প্রতিটি হিমেল রাত রূপ নেয় উজ্জ্বলতায়।
তোমার সঙ্গে শীতের এই মুহূর্তগুলো পার করতে করতে,
আমি অনুভব করি—তুমি ছাড়া শীত অপূর্ণ,
তুমি ছাড়া জীবনও।

(০৬)
শীতের রাতের গভীর আলিঙ্গন
-বিচিত্র কুমার

হিমেল রাত, নিস্তব্ধতার এক অপার জগৎ।
তোমার উপস্থিতি সেই জগতের একমাত্র উজ্জ্বল চাঁদ,
যার আলোয় আমার মন জেগে ওঠে।
তোমার স্পর্শে আমার শীতার্ত হৃদয় খুঁজে পায়
এক চিরন্তন উষ্ণতা, যা সব বেদনা গলিয়ে দেয়।

তোমার পাশে বসে থাকা মানে
হিমশীতল বাতাসের বিপরীতে আগুনের আঁচ পাওয়া।
তোমার চোখের গভীরে যেন লুকিয়ে আছে
অজানা কোনও পৃথিবী,
যেখানে শীত মানে আর ঠান্ডা নয়—
শীত মানে উষ্ণতার এক অপরূপ উৎস।

তোমার কণ্ঠে শোনা প্রতিটি শব্দ যেন
রাতের তুষারঝরার মৃদু গানের মতো।
তোমার প্রতিটি আলিঙ্গনে
আমি আমার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলি,
তোমার ভালোবাসায় মিশে গিয়ে
আমি খুঁজে পাই নিজেকে।

শীতের প্রতিটি নিশ্বাসে তুমি আছো,
তোমার গায়ের ঘ্রাণে মিশে থাকা
পাহাড়ি বরফের তাজা সৌন্দর্য।
তোমার ভালোবাসার স্পর্শে
প্রকৃতি যেন নতুন করে সৃষ্টি হয়।

তোমার সঙ্গে শীতকালীন এই পথ চলা,
আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি।
তুমি আছো বলে শীতের রাতগুলো পূর্ণ হয়,
তুমি আছো বলেই বরফের নিচে থাকা হৃদয়ও উষ্ণ থাকে।
তোমার কাছে আমার চাওয়া—
এই শীতের রাতে, এই কুয়াশার জগতে,
তোমার পাশে চিরকাল থাকতে।

(০৭)
তোমার চোখের তুলিতে
-বিচিত্র কুমার

তোমার চোখ—দুটি ঝিলিমিলি তারা,
যেন সন্ধ্যার আকাশে জ্বলতে থাকা আগুনমাখা রঙ।
তোমার চোখের গভীরতা—একটি শান্ত নদীর মতো,
যেখানে প্রতিটি ঢেউয়ে লুকিয়ে থাকে আমার হারানো স্বপ্ন।
তোমার দৃষ্টি—গোধূলির লালিমা,
যা প্রতিদিন আমার একঘেয়ে দিনগুলিকে রাঙিয়ে তোলে।
তোমার চোখের কোণে লুকানো বিষণ্ণতা—
ঝড় শেষে আকাশে ভেসে থাকা এক টুকরো মেঘ।

তোমার হাসি—পাহাড়ি ঝর্ণার সুরেলা গর্জন,
যা বুকের গভীরে চিরসবুজ বনের সুর তোলে।
তোমার হাসির মাঝে ঝরে পড়ে শিশির,
যেন প্রতিটি শব্দ হৃদয়ে একটি নতুন গল্প লেখে।
তোমার ঠোঁটের কোণে জমে থাকা মিষ্টি খেলা—
ফুলের গন্ধমাখা হাওয়ার মতো, যা মনকে বারবার মোহিত করে।
তোমার একফোঁটা মুচকি হাসি—
শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে আসা সূর্যের কিরণ।

তোমার চুল—আঁধারের মৃদু ঢেউ,
যেখানে রাতের সব স্বপ্ন এসে আশ্রয় খুঁজে পায়।
তোমার চুলের সুবাস—একটি বসন্তের বাগানের মতো,
যা প্রতিটি নিঃশ্বাসে প্রাণ জাগায়।
তোমার প্রতিটি গতি—চাঁদের আলোয় নাচা বকের মতো,
যা দেখে মনে হয়, পৃথিবীও তোমার ছন্দে বাঁধা।
তোমার উপস্থিতি—একটি সুরভিত মেঘ,
যা আমার আকাশজুড়ে ছায়া ফেলে।

(০৮)
প্রেমের বর্ষার ধারা
-বিচিত্র কুমার

তোমার চোখে জমে থাকা স্বপ্ন—একটি রংধনুর রেশ,
যা বৃষ্টিভেজা আকাশের মতো প্রাণবন্ত।
তোমার চোখে আমি দেখি গভীর মহাসাগর,
যার প্রতিটি ঢেউ আমাকে নিজের কাছে টেনে আনে।
তোমার চোখের কোণে ঝুলে থাকা জল—
বাঁশির সুরে গাওয়া একটি ব্যথিত গান,
যা আমাকে কাঁদায়, আবার নতুন স্বপ্ন দেখতে শেখায়।
তোমার চোখের চাহনি—একটি অপেক্ষার রাত,
যার প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে এক চিরন্তন রহস্য।

তোমার গাল—চাঁদের কোমল কুমারী আলো,
যেখানে ভালোবাসা তার প্রথম কবিতা লেখে।
তোমার গালের লাল আভা—ফলপাকা গোধূলির মতো,
যা প্রতিটি সন্ধ্যায় আমার হৃদয় জ্বালিয়ে দেয়।
তোমার গাল ছুঁলেই যেন মনে হয়,
পৃথিবীর সমস্ত ক্লান্তি মুছে নতুন এক ভোরের শুরু।

তোমার স্পর্শ—বাতাসের শীতল হাত,
যা গ্রীষ্মের উষ্ণতাকে শান্ত করে দেয়।
তোমার স্পর্শে জমে থাকা অনুভূতি—
একটি পরশপাথরের জাদু, যা হৃদয়ের প্রতিটি ক্ষতকে সোনায় পরিণত করে।
তোমার স্পর্শে আমি খুঁজে পাই আকাশের সব তারা,
যারা আমাকে বারবার বলে—তুমি আমার।



(০৯)
তোমার ছোঁয়ার জাদু
-বিচিত্র কুমার

তোমার হাত—বসন্তের ফুলকুঁড়ির মতো কোমল,
যা ধরলেই জীবন ফুলে ওঠে।
তোমার হাতের লাইনগুলো—একটি মানচিত্র,
যার প্রতিটি বাঁক আমাকে নিয়ে যায় অজানা প্রেমের দেশে।
তোমার হাতের উষ্ণতা—মায়ের আদরের মতো,
যা জীবনের সমস্ত ব্যথাকে তাড়িয়ে দেয়।

তোমার পায়ের চলন—একটি নদীর স্নিগ্ধ ঢেউ,
যা মাটিতে চিহ্ন রেখে যায় চিরকাল।
তোমার পায়ের শব্দ—পাখির ভোরের ডাকে মিলে যায়,
যা শুনলেই মনে হয়, নতুন সূর্যের আগমনী বার্তা।
তোমার পথচলা—শরতের হাওয়ার মতো মৃদু,
যা হৃদয়ের সমস্ত তাল বন্ধনী খুলে দেয়।

তোমার ভালোবাসা—সূর্যের প্রথম কিরণ,
যা অন্ধকারের সমস্ত আড়াল সরিয়ে দেয়।
তোমার ভালোবাসার গভীরতা—সমুদ্রের তলদেশে লুকানো মুক্তোর মতো,
যা আমি কখনোই পুরোটা বুঝে উঠতে পারি না।
তোমার ভালোবাসার প্রতিটি মুহূর্ত—
একটি চিরন্তন রূপকথা, যা যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে।


(১০)
চিরন্তন তুমি
-বিচিত্র কুমার

তোমার হৃদয়—সমুদ্রের গভীরতা,
যেখানে প্রতিটি ঢেউয়ে একটি নতুন গল্প।
তোমার চাহনি—আকাশের ঝিলিক,
যা বুকের সমস্ত দ্বিধা মুছে ফেলে।
তোমার স্বর—একটি নীরব গান,
যা শোনার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
তোমার প্রেম—বসন্তের নৃত্যরত ফুলের মতো,
যা জীবনকে রঙিন করে তোলে।

তোমার কাছে আসা মানে—
একটি জোনাকি পোকা ধরা,
যা অন্ধকারে আলো জ্বালায়।
তোমার কথা বলার ধরন—
শীতের সকালে কুয়াশার গল্প,
যা আমাকে শোনায় হারিয়ে যাওয়া দিনের কাহিনি।
তোমার প্রতিটি উপস্থিতি—
একটি বৃষ্টিস্নাত বিকেল,
যা আমাকে ভিজিয়ে দেয় ভালোবাসার জলে।


---