পথ চলে গেছে অনেক দুর
পেরিয়ে গিরি, নদী, মরু প্রান্তর
সুখ সেও অনেক দুর
পথ থেকে এদিক ওদিক চারপাশে
যেখানে আলোর ঝলকানি,
টাকার অহংকার
নিত্য সুরের নতুন চমক
আর বাহারি সাজে নৃত্য তাল
অবশেষে নিঘুর্ম মানুষের
হাতেহাতে ঘুম পাড়ানির ঔষধ
কোথাও বা দেশী স্বাদের গন্ধ
আর ভদ্রতায় বিদেশী পানির ভক্ত অন্ধ;
তার পর ঘুমোতে যাওয়া
শান্তির ঘুম, তৃপ্তির ঘুম
সে ঘুম পথ থেকে অনেক দুরে
যেখানে রঙ্গীন আলোর শয্যা।
সুখ, সে তো অনেক কাছে
ধুলিমাখা পথের পাশেই দেখা যায়
শুধু শুধু পথ থেকে দুর
চারদিকে এদিক ওদিক
সত্যি ভূল হয়ে গেল বুঝি
সুখের বর্ণনায়।
এইতো সুখ, শন শন বেগে বয়ে চলা গাড়ীর
ছেড়ে যাওয়া কালো ধোঁয়ার সাথে
পথের ধূলি,
পাশেই ঘুমিয়ে থাকা
ঘরহীন মানুষের উপর।
নিষ্প্রাণ মানুষের মত
স্বর্গ সুখের ঘুম-
নাক ডাকার শব্দ আজ নিস্তেজ
গাড়ীর হর্ণের শব্দে চাপা পড়ে,
সে কে? মানুষ নয় কি?
তবে সে গরীব, অসহায়
সে পারে না কাউকে বলতে
তাই তো তার ঘরহীন
পথ ই যে স্বর্গ
ধুলি কণা যে তার আর্শিবাদ
পরম পরুষতম প্রভূর;
সূখ সে কোথায়, ধূলিমাখা ঐ পথে
এখানেই যে শান্তির তৃপ্তির ঘুম ঘুমায়
পথে পড়ে থাকা মানুষগুলো।
(তারিখ-২৬/০২/২০১১ খ্রিঃ বান্দরবান)