আসসালামু আলাইকুম শ্রোদ্ধা শুধিজন
নেশা জগতের বার্তা পড় জানাই নিমন্ত্রণ।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নেশার কথা বলবো
বার্তা পড়ে সচেতন মনে সকল নেশা ছাড়বো।
ধংস নিলার কবিতা শুরু,পাঠক বন্দুগণ
বৃটিশকালে জমিদারে হুক্কা খায় তখন।
হুক্কার মূল ঘটনা নেশা পানা বৃটিশ সরকার ছিল
বৃটিশ সরকারের বান্দা হুক্কা জমিদারে নিল।
হুক্কা প্রচার হল,জমিদারে আদায় করে কর
প্রায় বাড়ী টং কাচারী কল কাচারীর ঘর।
তখন প্রজাগনে হুক্কা টানে নারী পুরুষ সবে
বিদ্যা ছিল খুবই কম তামাক হুক্কা টানে।
অভাবে এলোমেলো প্রজা মরল খাজনার দায়ে
৪৮ সি জমার ডিগ্রী প্রজাগনকে ধরে।
প্রজার শান্তি নাই শান্তি নাই যুগ যুগ ধরে
অশান্তির মূল জমির কর শোধন করব কিশে?
দেশে শান্তি নাই চাষী ভাই নাইরে চাষীর হাল!
কেহ নিল ভিক্ষার ঝুলি কেহ নিল জাল।
দুঃখ হইল শুরু ওহে গুরু সঙ্গ দোষে পেশা
নারী পুরুষকে ধরল রোগ সকল প্রকার নেশা।
নেশা এমনি জ্বালা হয় উতালা নেশা জাগে মনে
সুন্দরী নারী যেমন তেমন যদি নেশা টানে।
নেশা অনুভূতি স্বাস্থ্য ক্ষতি ও নেশারু ভাই
প্রত্যেক নেশায় কমে যায় অতিরিক্ত আই।
বহু নেশা পানে হায়াত কমে কর্ম ক্ষেত্রে তবে
কর্ম ক্ষেত্রে নেশা করলে অধিক আয়ু কমে।
পরিক্ষা মতে একই হাতে বেশি নেশা করা
ব্রেইন ষ্ট্রোক, হার্ড এ্যাটাকে যায় প্রাপ্তহীনে মারা।
নেশার মুখে তৃপ্তি হয়না জাগে অরুচির ভাব
শরীর কষা বুকে ব্যথা দেহ অগ্নি তাপ।
মোদের হৃদপিণ্ড মেরুদণ্ড মূত্রথলির জ্বালা
মেহ করে যৌন দূর্বল প্রসাবে পড়ে লালা।
ধরল ধাতু রোগে নেশা যোগে রক্ত হল কম
নেশা করে রোগ সঙ্গী আনল মৃত্যুর যম।
বর্তমান আধুনিকে পরিক্ষা মতে নেশা রোগের দ্বার
বিশ্বদেশে মরছে মানুষ হাজারো হাজার।
সত্তর ভাগ জলের দেহে রক্ত জল ঘোরে
রক্ত জল সম্মিলিত হার্ট পরিস্কার করে।
নেশার সময় নিশ্বাস নিলে ভিতরে ধুমা যায়
ধুমপানের মল কাই ফুসফুসে জমা হয়।
বলি হার্টের কথা যুক্তি হেতা হুপিং,যক্ষা,কাশি
হার্ট কিডনী ধাক্কা চাপে হার্ট কিডনীর ক্ষতি।
করি নেশা পান শুধিজন অধিক সঙ্গ নেশা
চাওয়া নেশায় ধুমপান প্রায় লোকের পেশা।
চলো সড়ক পথে বন্ধুগন কচি কচি ছেলে
ছেলে কিংবা মেয়ে হক আগুন আনতে বলে।
মোরা সঙ্গ দোষে বর্তমান অনিয়মে ভরা
দশের সামনে করছি নেশা নাই- কো জরিমানা।
কেন নেশা করি নিজে মরি অন্যের ক্ষতি করি
অন্য লোক না পায় যেন নেশার বিষাক্ত বড়ি।
মোরা বাংলাদেশি স্বপ্ন দেখি যুগ যুগ ধরে
সুশিক্ষিত জনপদ তুলবো দেশে গড়ে।
কিছু স্বাস্থ্য কথা লেখি হেতা জলে চলে কল
জল মোদের অপর জীবন জলে আছে বল।
মোরা খাব খানা অন্ন দানা অর্ধ পরিমাণ
জল পান অংশ সমান,সমানে সমান।
পাব রোগ মুক্তি,আয়ু বৃদ্ধি রক্ত হবে তরুন
মূত্র থলে লিবার পরিস্কার সুস্থ্য দেহ গড়ুন।
নারী গর্ভবর্তী নেশায় ক্ষতি শয়ন আপন ঘরে
ক্লান্ত মনে শান্ত ভাবে ঘুম বিছানায় পরে।
যদি গর্ভ কালে নেশা করে ঘন নিশ্বাস টানে
গর্ভ নারীর দম ছোট সর্ব লোকে জানে।
জলের জীবন ফুলের মতন,যদি নেশা ছাড়া যায়
ফুলের গন্ধে মন জুড়ায় দেহ জুড়ায় হাওয়ায়।
বৃটিশ কালে খাজনার ফ্যরে অধিক কষ্টে আহার
পুরুষ মানুষ নেংটি পোষাক করতো ব্যবহার।
নারী ছেওটা পড়ে ছতর ঘেরে বেশ ছেওটা ধরি
পড়নেতে মাঝে মাঝে দশ হাত শাড়ী।
ছিল মাছের খানা অল্প দানা মাঠে অল্প ধান
নদী বিল ছিল আর মাঝে কত বন।
ছিল বন মুল্লুক বাঘ ভাল্লুক কত পশুর ডাকে
জীব জন্তু ভয়ে মানুষ কাছে কাছে থাকে।
জমির নিত কর জমিদার করে বাসাবাড়ী
অট্টালিকা দালান কোঠা করল সারি সারি।
বৃটিশ বুঝতে পেল সুখী হল দেশের জমিদার
প্রজাগনের টাকা লুটে এত কায় কারবার।
দিল স্কুল গড়ে বিদ্যা খুলে থানা জেলার পর
মূর্খ্য লোক না হোক দেশে বিদ্যার হক ঝড়।
একটু জ্ঞানী মানী শিক্ষা জানে প্রাইমারী পাসে
তারাই কেহ শিক্ষা পন্ডিত গ্রাম্য শালিশ বসে
দিল জেলা মিলে স্কুল খুলে উচ্চ বিদ্যালয়
পায়ে হেটে ক্লাস করা পড়তে নাহি চায়।
রুপার মালা গহন বালা কিছু টাকা ছিল
জমিদারের ভয়ে প্রজা মাটিতে পুতে রাখল।
ফাল্গুন চৈত্র মাসে বসন্ত ডাকে রোগ জীবানু যত
গোষ্টি জুড়ে এক হুক্কা রোগ শত শত।
মানুষ নেশা করল রোগ হল যক্ষা,হুপিং কাশি
নেশাকারীর রক্ত দোষে সহসঙ্গী রোগী।
খাইনা আউটা খানা সবার মানা ডাক্তার মতান্তরে
এক সমাজের রোগ জীবাণু শত সমাজ গড়ে।
হটাৎ রাজ্য ভাগে,রোগ জাগে প্রজাগনের দুখ
প্রজা কর্ম বিনে সর্বহারা কেমনে পাবে সুখ।
প্রজা শূন্য হাতে চিকিৎসা নিতে কেমনে দুরে যায়
জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে অনেক টাকা ক্ষয়।
রোগ বাহনা মৃত্যুর কারন মুক্তির উপায় নাই
ষাট বছরের আগে মানুষের প্রায় মৃত্যু ভাই।
করি নেশা পান জনগণ বর্তমানে দুখ
অনিয়মে ধুমপান করলে কেমনে আসে সুখ।
ফলি মাঠে ধান কৃষক গন কিছু ধান রোপা
বর্তমানে ধরতে গেলে শিকি লোক বোকা।
গড়ি স্বপ্নের দেশ বাংলাদেশ করি শিক্ষার পণ
অনাবাদী চাষী মাঠে কাটি ঝাড় বন।
মাঠের কাজে কর্ম হাতে দেশের সকল চাষী
চায়না বোরো রোপা ধান আর বারমাসি খ্যাতি।
মোরা বাংলাদেশি ধান চাষী পুকুরে চাষি মাছ
ধান ফলাইয়া মাছ বেচিয়া আনবো ঘরের সাজ।
দুঃখ যাবে দুরে আনব ফিরে জগৎ টাকার মান
টাকা হলে আনন্দ ভাসে আনে সুখের গান।
টাকার মান বড় জ্ঞান ধর শতবার জানা
টাকা দিয়ে কোন ভাবে বন্ধু মেলাও না।
আমি বলে যাই পাঠক ভাই করি জীবন পণ
ধুমপান থেকে সাবধান হবো প্রত্যেক জন।
আমি এই পর্যন্ত দিব খান্ত সামনে কিছু কথা
নেশা বিনে সুখে আছে দুই সন্তানের মাতা।
যে খালি পেটে নেশা করে ধুমা রক্ত মেশে
দৃষ্টি শক্তি কমিয়ে ফেলে দুঃখে লাজে মরে।
নেশায় সমাজ নষ্ট রোগে কষ্ট পাইনা বন্ধুর মান
প্রসূতি নারীর গর্ভ নষ্ট,নষ্ট পোলাপান।
নেশা কারি সঙ্গ দোষে নেশার পালায় বসে
নেশাকারীর চেয়ে ক্ষতি অনেশারুর আসে।
কৃমি পেটে নেশা করলে চিকিৎসা নাহি ধরে
নেশাকারীর ওষুধ সেবন কাজে নাহি আসে।
নেশায় ধরে হাঁপিং,কাশি,মরন ব্যাধি হার্টে জমে কাই
দাদা থাকতে নাতীর মৃত্যু নেশার চিকিৎসা নাই।
চিকিৎসা সাস্ত্রে চিকিৎসা করে সুস্থ্য হয় না রোগ
বলি,ওষুধের কি নাই ক্ষমতা কি ওষুধের দোষ?
বাল্যকালে বিয়ে দিয়ে পাঠাই স্বামীর বাড়ী
ডেমরা কালে ঘন সন্তান দেহ নষ্ট নাড়ী।
পুরুষ মানুষ নেশা করায়,প্রাপ্তিহীনে যায় মারা
কর্তা হারা পরিবার বোঝে,নেশার কত জ্বালা।
ওহে দেশবাসী চাকরী চাষী শিল্পে শ্রমিক গন
সবাই নেশা থেকে বিরত থাকবো এই করিব পণ।
কত মাঠে পথে হাটে ঘাটে নেশাকারী ঘোরে
নেশাকারীর মুখের লালা ঝেলঝেলিয়ে ঝড়ে।
চলে যানবাহনে কাজের টানে ভদ্র শুধিজন
সিট অধিকার সবার আছে জানে যাত্রীগন।
যারা গাড়ী চড়ে নেশা করে পাশে যাত্রীর সিট
আপন মুখের থুথু পয়জন ফেলবে কোন দিক।
যদি অন্যের গায়ে থুথু লাগে যায় বাতাসের তরে
আপন দেহে কি কি রোগ অন্যের দেহেও ধরে।
আরো কিছু কথা লেখি হেতা আহা দুঃখে মরি
অবৈধ মেলামেশায় এইডস রোগের খনি।
যে অপর নারী যেনা করে পর পুরুষের সাথে
অভিশাপ্ত এইডস রোগে সেই মানুষের ধরে।
আধুনিকে পরিক্ষা মতে এইডস রোগের ধারা
এইডস রোগের ভূক্তভুগি যায় শত ভাগ মারা।
এইডস রোগে যুক্ত যারা তাদের পাপ মুক্তি নাই
এইডস রোগের চিকিৎসা পাতি ভবিষ্যতে নাই।
অন্যেয় মেলামেশায় এইডস রোগ ধরে
দুরারোগ্য ব্যধি বলি আল্লা নাহি ছাড়ে!
দুনিয়াতে অভিশাপ্ত পরকালে ভয়ংকার আযাবে পড়ে।
পাঠক ভাই বলে যাই পাপ করো না
যেনা কারির ব্যাখ্যা হবে রক্ষা হরে না।
ভুল ভ্রন্তি ক্ষমা চাই সকল পাঠকের কাছে
বাংলাদেশে আর যেন নেশা নাহি থাকে।
এই পর্যন্ত দিলাম ক্ষান্ত নেশার কিছু কথা,
দেশের শান্তি আলো বাতাস বৃক্ষ তরুলতা।
জেলা গাইবান্দা,আছে তাতে পলাশবাড়ী থানা
অত্র এলাকায় শ্যামপুর গ্রাম কবির ঠিকানা।
শ্যামপুর জন্মবাড়ী,প্রচার করি সামছুল খন্দকার
মাতা গত পিতাও মৃত্যু আজিজার খন্দকার।
কবিতা ইতি হইল,ভাই সকলো করি সমাপন
মাদক মুক্ত জীবন গড়ি,এই করিবো পণ।