গগন পথে যাচ্ছি উড়ে
হঠাৎ নজর পড়ে-
ছোট্ট একটা খোক্সা গাছে
টুনটুনি বাস করে।
নেমে এসে শিমুল ডালে
চুপটি করে বশি-
টুনটুনি ছানা খাব আমি
এই ভাবিয়াই খুশি।
টুনির দৃষ্টি করুন ভঙ্গি
জমের চোখে বন্দি-
মহুর্তর মধ্যেই চালাক টুনি
মনে আকঁছে ফন্দি।
টুনি বলে ওরে কাক ভাই
বাচ্ছা খাবি খা-
গু ভরা ঠোঁটে,কেমনে খাবি?
আগে- গাঙ্গায় ধুতে যা।
এই শুনিয়া এছাই খুশি
মুচকি মুচকি হাসি,
একই সাথে চারটা ছানা-
ঠোঁট ধুয়ে আগে আসি।
উড়ে গিয়ে বসছি কাটরায়
ঠোঁটটি ধুবো বলে-
যেই পানিতে ঠোঁট চুবাইছি
মুয়াজ্জিন ওঠছে তেরে।
এই খানে ঠোঁট ধুইতে মানা
নামাজের অযু করি-
পানি দিব,আনবি হাড়ী?
যা কুমারের বাড়ী।
কুমার ভাই,কুমার ভাই
বলি বাড়ী আছেন?
-বলে আছি।
দিবেন হাড়ী
দেম গঙ্গাত
দিবি জল
ধুম ঠোঁট,খাম টুনির বাচ্চা
-বলে আচ্ছা।
আমার বাড়ী নেই যে মাটি
কেমনে দেব হাড়ী-
যদি হাড়ী দরকার হয় তোর
যা টেকরের বাড়ী।
টেকর ভাই,টেকর ভাই
বলি বাড়ী আছেন?
-বলে আছি।
দেবেন মাটি
দেম কুমারক
দিবি হাড়ী
দেম গাঙ্গত
দিবি জল
ধুম ঠোঁট,খাম টুনির বাচ্চা
-বলে আচ্ছা।
আমার বাড়ী নেই যে শাবল
কেমনে কাটবো মাটি-
যদি মাটি দরকার হয় তোর
যা কামারের ঘাটি।
কামার ভাই,কামার ভাই
বলি বাড়ী আছেন?
-বলে আছি।
দিবেন শাবল
দেম টেকরক
দিবে মাটি
দেম কুমারক
দিবে হাড়ী
দেম গাঙ্গত
দিবে জল
ধুম ঠোট,খাম টুনির বাচ্চা
- বলে আচ্ছা।
আমার আছে কাঁচা লোহা
বানাইতে লাগে আগুন-
নদীর ওপাড়ে উড়ছে ধোঁয়া
আগুন আনতে উড়ুন।
বলি ও মাসি মা বুন্দি মুঁড়ে
পাখনায় আগুন নেব-
ঐ পাড়েতেই কামার পাড়া
তরিৎ উড়াল দেব।
আগুন পেয়ে আনন্দ মনে
পাখনা উড়াল দেয়-
মাঝ নদীতেই পুঁড়িয়ে কাক
পানিতে পড়ে যায়।
কাক কোনদিন সাদা হয় না
বগ কোনদিন কালো-
টুনির কথায় বোকা সাজলে
ফল হয়না ভালো।