রাজার মহলে আহাম্মুকের গল্প লেখে বুঝাবো কারে?
আহাম্মুক ভাষায় ডাকো রাজা রোজ দিন মোরে!

রাণীর মুখে কর্কট ভাষা,আহাম্মুক দেখাও রাজা
নইলে,আজকে তোমার সংসার ছাড়বো কালকেই তুমি প্রজা।

রাজা বুঝতে পেল একি হলো রাণী যদি যায় ছাড়ি,
শ্বশুরকুলের রাজ্য,রাণী এই বুঝি আমি হাড়ি।

রাজার মুখে উল্টো বানী,এটি উদ্বৃত গালি
ভুল কাজের মধ্যে আমি আহাম্মুক তুলে ধরি।

রাজার কথায় কাজ হল না! রাণী বাকা পথে,
আজ থেকে রাজ্যের ক্ষমতা শুধু আমার হাতে।

রাজা ডাকেন ওরে গোপাল জরুরী ডাকি তোরে
এক মুহুর্ত দেড়ি না করে আহাম্মুক আন ধরে।

চলছে গোপাল ঠিক নাই মাথা,বগলে জুতা হাতে ছাতা!
যাকে দেখে তাকে বলে আহাম্মুকের কথা।

গোপাল,নদীর ঘাটে নজর পড়ে পাশের লোকটি দাড়া,
লোকটি ব্যগ হাতে,গেন্জি গায় নেংটা পোশাক পড়া।

গোপালের নজর দাঁড়িয়ে পড়লো খটকা খাইলো,লোকটির বেশভূসায়!
নেংটা গেন্জি গায়, ব্যগ ভর্তি সওদা লয়ে বুট জুতা পায়।

অধিক চালাক গোপাল ভাবেন লোকটা নয়তো বোকা
অযুহাতে নিয়ে যাব দরবারেতে! নইলে কাউকে দিবে ধোকা।

রাজা বুঝতে পেল ধারণা হল গুপ্তচর হতে পাড়ে!
গুপ্তচরকে দেখতে এলো সকল প্রজা,রাজার দরবারে।

উকিলের জেরায় প্রশ্ন কত যাচ্ছো তুমি কোথা?
জেল কিংবা ফাঁসি হবে যদি বলো মিথ্যা!

ধীরে ধীরে জবানে বলে,নই গুপ্তচর নই-কো চোর শোনেন রাজা মশাই
এতো কিছু সওদা লয়ে আমি বউকে দেখতে যাই।

মধুমালাকে করেছিলাম বিবাহ আপনার মধুপুর রাজ্যে
বন্ধ্যা ভাবিয়া ছাড়ছি বউকে এই মোর ভাগ্যে।

মধুর ধর্ম কার্য্য বিবাহ হইছে মোর ভগনি পতির সাথে
পরশু মুই খবর পাইছি মোর মৃত বোনের তৃতীয় মেয়ের কাছে।

সাত চড় ছাড়িয়ে,নৌক ভেলায় চড়িয়ে,বনগাঁও পেড়িয়ে
দেখতে যাচ্ছি তারে করতোয়া নদীর ধারে।

পোয়াতির জন্য লইছি টেংরা,সঙ্গে পব্দা,আরো ইলশে মাছ!
তেল,সাবান শাড়ী হেন লইছি দুই সন্তানের সাজ।

উহা শুনে নারী পুরুষ হেসে আচল ধরে নাকে
আহাম্মুক সেতো,হাসেন শত নেংটি খুলে নাকে!

তৎক্ষনাতে চোখ মুদিল রাজা,বলে নেংটি নামাও উল্লুক
এতো দিন মিথ্যা গালি দিচ্ছি কাকে,এই তো আসল
                   আহাম্মুক।