শেষের কবিতা
অনুরাগ জোশ
......................
তুমি আমার মনের ফুল বাগানে,
নব্য গজানো সবুজ পাতা।
আবেগের কুয়াশাতে অন্ধকার ধরণী,
যেন ছেড়া ডায়েরীর শেষের কবিতা।
তুমি আমার কবিতার রাজ্যর শব্দ,
তোমাকে প্রথম দর্শনেই আমি নিস্তব্ধ।
একি সুখ নাকি স্বর্গ নাকি এলোমেলো স্বপ্ন,
নাকি ছুয়ে গেল আমার পৃথিবী একরাশ মুগ্ধতা।
কবিতার ছন্দপতন শব্দ খুজিতে কবি হয়রান,
কবি নীরব না লিখছে কবিতা না লিখছে গান।
হঠাৎ তোমার দর্শনে শব্দের রাজ্যে শব্দের ছোটাছুটি,
কবি লিখছে মন খুলে হাসছে ভেংগে সব মৌনতা।
তোমার উপমা দিয়ে তো মহাকাব্য লেখা যায়,
সাগরের সব জল কালি হলেও শেষ করার নেই অভিপ্রায়।
তোমাকে দেখলে অধম কবি হয়, কবি কবিত্ব হারায়,
দিণমনির আলো নিভে যায় দেখে ঐ হাসির মুগ্ধতা।
তোমার বাকা চোখ দেখার পর অন্ধ হতে চাই,
নিজের চক্ষু নষ্ট করে তোমার চক্ষুতে পৃথিবী দেখতে চাই।
তুমি হারালে আমি আমাবস্যাতে হারাই,
তুমি জড়ালে পূর্নিমা! কেন তোমার সৌন্দর্যের এত তীব্রতা।
ঐ রুপের পূজোতে চন্দ্র সূর্যকে দেখেছি করতে শির নত,
তোমার ইশারাতে আমি দেখেছি মুছে যেতে জিবনের গ্লানী যত।
আমি সুস্থ ছিলাম উম্মাদ হয়ে গেছি,
আমি ভাষাহীন কবি, ভাষা কেড়ে নিয়ে দিয়ে গেছো আজব মৌনতা।
আমি অসহায়, অপদার্থ এক অধম কবি,
শুধু পুজো করতে চাই করে তোমাকে দেবী।
জীবন ডায়েরীর ছিল বাকি একটিই পাতা,
সেখানেই লিখে দিলাম তুমি ছেড়া ডায়েরীর শেষের কবিতা।