রাজ্যপালের পুত্র দুলাল,
ভেঙে দিল আমার মেয়ের কপাল।
জননী ছাড়া কপাল পোড়া মেয়ে আমার
গরিব বাবার ঘরে।
দিতে পারিনি একমুঠো ভাত
আমি প্রতিবন্ধী বলে।
কাজের সন্ধানে অনেক ঘুরেছি
পাইনি কোন একমুঠো ভাতের কাজ।
নিরুপায় হয়ে রাজার দুয়ারে
যাওয়া হয়েছিল আমায়।
সাথে টুকটুকে চেহারার মেয়ে
নিয়ে গিয়েছিলাম রাজার রাজত্বে।
প্রতিবন্ধী বলে আমায় তাড়িয়ে দিয়েছিল
রাজার রাজ্যর অমঙ্গল হবে বলে।
হঠাৎ দুলালের নজর পরে
আমার মেয়ের রুপে।
তাইতো দুলাল রাজী করেছিল
রাজ্যপালের মনে।
আমি হতভাগ্য বাবা আমি অভিশপ্ত
বুঝতে পারিনি মেয়ের সর্বনাশ
এমনি ঘটিবে নিশ্চুপ নিরালায়।
কৈফিয়ত কাকে দেব
দেওয়ার নেই কোন ক্ষমতা
অক্ষম অভিশপ্ত আমি বাবা।
একদা মেয়ে আমার বিষ পান করে বলে
জীবনের মত যাচ্ছি বাবা
আর হবে না তোমার সাথে দেখা।
সুখে থেকো বাবা দিতে পারলাম না
তোমার সেবা।
মাফ করে দাও মাফ করে দাও
বাবা জিবন আমার ষোল আনাই মিছে।
হাসরের মাঠে যদি হয় দেখা
তবে আমায় পার করে দিও সেথায়।
দুখির দুঃখ এমনি হয়
জীবন খানা মা আমার বৃথা।
মেয়ে আমার চলে গেল
রেখে গেল আমায় একা।
গরীব বলে প্রতিবন্ধীদের
জীবন খানাই মিছা।
জড়িয়ে লুটিয়ে কেঁদে মরি
কেউ আসে না পাশে।
নিজের মেয়েকে কবর দিলাম
আমার ঘরের পাশে।
দুয়া করি মা কবরে তুই
থাকিস চির সুখে।
কপাল ভাঙ্গা বাবা আমি
জিবন কাটাই চির দুখে।