দোয়েল ডাকে খঞ্জনার তালে- চপল হেরি ভেজা কস্তরী
ফুলে; ভৈরবী সুর দিচ্ছে ঢেলে! পাঁটের আঁশের চারিধারি,
___এঁলো কেশে উঠলো ভরি
শালিক ঘুঘু উপ’ড়ে এসে-
ধুপড়ে প’ড়ে জাফরান বেশে;
রূপের আলোয় আগুন জ্বেলে,
আসলো নেমে ফাগুন শ্বসলে
অলকার যত সাজরূপ
আমার দেশ রূপের স্তুপ..
পলাশ শিমূল কৃষ্ণচূড়া টগবগানো নীলাভ ব্যথীত ভূঁঁইচাপা,
বন উদাসি গন্ধবাসি- ”ভ্রমর আজি রাখছে বুঝি কোমল-পা
___ভিজিয়ে মৌমাছির গা”
হিজল ফুল ডুমুর তলে-
শাঁই-শাঁই শব্দে ভেসে চলে;
দূর নক্ষত্র ঐ দ্বার খোলে,
রূপসজ্জ্বা সবই দিচ্ছে ঢেলে
জোনাকির বৈরুত আলোতে
পাবে আমায় তাতে
আমি আসবো আবার ফিরে; পদ্ম হয়ে ভাসবো দীঘির জলে,
ঘাসের সাথে রবো মিশে- পাবে আমায় ধান শিরীষের ডালে
___ফুলে ফলে পল্বলে;
বাঁশঝাঁরের ঐ হুতোম পেচাঁয়-
মাছরাঙ্গার রঙ্গিনকাটা ঠোঁটের ডগায়;
চিলের মতো উড়বো ভেসে,
ঘাসফড়িং এর দেশে দেশে
প্রজাপতির ডানায়
আজ তোমাদের জানাই
অপার বাংলায় জন্ম আমার যেথা অলকায়।