কালো কায়!
কালো কলেবর -তোমার কুঁচকুঁচে ললাটের ডগা,
কেবা রাজ্যে-কেবা অট্টালিকা প’ড়ে-কেবা পারাগাঁ
হেরি মুখপানে
তিমির শ্বশানে
সফেদ হৃদকোণে
মোরা এককোঠরীর প্রদীপশিখা,
বেদ-বেদুঈন নাইকো লিখা ।
ঝড়-ঝঞ্ঝাটে লড়ি মোরা, তোমা মগডালে বাধিনু ঘর
দীর্ঘশ্বাস হেথা, ত্রাসে-অনলে পোড়ে আমরা যাযাবর
নিখিল ধরার তলে
ঘুরে বনজঙ্গলে
দগ্ধ রৌদ্র-রুদ্র জলে
আমা-মুমূর্ষু, ক্লান্ত তোমা তরে,
বলে, ব্যারাতুর ত্রুন্দন স্বরে ।
কর্কস-কৃষ্ণ কণ্ঠে বলে শুধায়, মোরা জাতে প্রলয়দর্পহারী
দূর্গম-দূর্জয় নিহারিকা কেটে চল-চঞ্চল করে আরশ গড়ি
জাত- গোত্র-বন্ধন
ছেদন- কেটে-কর্তন
হরিলুট- লুটে-লুণ্ঠন
যাও গড়ো নিকেতন, নীজ সিংহাসন,
থেকো নাকো পিছন পিছন ।
ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই,
দিয়ে গোত্রের দোহাই
জাতে গোত্রে কেহই,
আজ নই মোরা একই
কাক উচ্চশিরে-মন্দ বেজায় কোকিলের তরে ।