আঠারো বছর গ্রহণ করে শিক্ষা,
পেলাম তিনটি ভিক্ষা,
তিনটি কাগজে বন্দি জীবন।

তিন কাগজেই পরিচয় আমাদের।
এই আমাদের নামের পাশে লিখে সম্মান।
অকারনে বেকার হয়ে, পায় যুবক অপমান।


সার্টিফিকেট পেয়েছে সবাই।
চাকরিটা সেভাবে মিলেনা,
অভাবে কিছু করতে গেলে সম্মান থাকেনা।
বাঙ্গালি জাতি সম্মান রাখেনা।


বলে কেনে হয়েছো শিক্ষিত।
সেই ব্যবসা করেই খাবে?
ওহে তবে সার্টিফিকেট কেন?
ওসবে কি আসে যায়?


সরকারি চাকরি, যেন সোনার হরিণ পাওয়া।
পেয়েছে গোপাল মন্ডা, আর মেওয়া।


চারদিকে সুনামের সাথে পিটিয়ে ঢোল।
মিষ্টি খাওয়ায় বাঙ্গালি হেসে।
কি আর হবে এই দেশে।
সার্টিফিকেট দামি হয়,সরকারি চাকরির আবেশে।



আমিও সার্টিফিকেট পেয়েছি মা।
আমাকেও যুদ্ধে যেতে হবে।
সরকারের চাকর হয়ে দেশ ভেজে খেতে হবে।
আমিও চাকরি চাই!
আমি বললে ভুল হয়ে যাবে।
বাবা আমার বলেছে, না খুঁজিলে চাকরি,
জীবনে মরিতে হবে অভাবে।



আমিতো স্বাধীনতা চাই।
ঐ সার্টিফিকেট এর প্রতিযোগিতা থেকে।
আমি শিক্ষিত হতে চেয়েছি।
শিক্ষিত দুর্নীতিবাজ নয়,
আমার অফিসার হওয়ায় ইচ্ছা কোনকালেই ছিলোনা।


দেশে অনেক বেকার।
আমি চাকরি খুঁজতে চাইনা।
আমি চাকরি দিতে চাই।


সার্টিফিকেট এখন গেরাকল।
ফেসেছে এ প্লাস ওয়ালা নাগরিক।
আমিও তোমাদের সমাজের কুসংস্কার দিয়ে আটকে আছি।
আমিও বন্দি তোমাদের জেলখানায়।


তোমাদের পুরাতন সব নিয়ম।
মানুষের মাঝে শুধু বিভেদের দেয়াল গড়েছে।
আর কিছু দেখিনি আমি সেখানে।



এসেছে নতুন দিন।
মানুষ আর বোকা নয়।
তোমরা যতোই কর অভিনয়।
এসব আর কাজে দিবেনা।