ভুতুড়ে মেয়ের বিয়ে হবে রব উঠেছে গাঁয়ে,
ছেলে নাকি অনেক ভালো কর্ম করে না'য়ে।
দেহের সাথে চুলের রং ব্যবধান নেই বেশী,
সহজ সরল ছেলে তিনি করে না রেষারেষি।
ভাড়া নিয়ে কারো সাথে করে না দরদাম,
মাঝি পাড়ায় এই ছেলেটির রয়েছে সুনাম।
বিপদ এলে পাড়ায় কারো এই ছেলেটি খাড়া,
সবার আগে লাফিয়ে পড়ে সুস্থ্য রাখে পাড়া।
তাহার গায়ে অনেক বল পাড়ার লোকে বলে,
ডাঙার নাও একা টেনে নাবায় গভীর জলে।
রাত-বিরাতে মানুষ খেপায় পারে এলে কেউ,
ভূত-প্রেতে করে না ভয় জিনে দিলেও ফেউ।
দেখতে শুনতে মহাপুরুষ শুনছে বিয়ের কনে,
এমন স্বামী ভাগ্যে পেতে স্বপ্ন আঁকছে মনে।
পাত্রপক্ষ মেয়ে দেখে বিয়েতে হলো রাজি,
ছেলে পক্ষের রইল শর্ত, বিয়েটা হবে আজি।
কনের স্বজন হইলো রাজি থাকল না দ্বিমত,
পাড়ার মোড়ল পড়াবে বিয়ে করিলো নিয়ত।
খানাপিনার করে আয়োজন স্বার্ধমত তাদের,
কনের ঘাড়ে ভুত চেপেছে বলবে এখন কাদের?
তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে দেখলে কনে স্বামী,
ভুতুড়ে মেয়ের বিয়ে দিয়ে পিতা হয় আসামী।
অগ্নিশর্মা হলেন তখন পাত্র পক্ষের স্বজন,
ভুতুড়ে কন্যা বউ হিসাবে মানবে বলো কজন?
ছোটো বড়ো কথার মাঝে মাঝি নিরব বসে,
অনাকাঙ্ক্ষিত ভুতের অঙ্ক যাচ্ছে তিনি কষে।
হতো যদি নিজের বোন করত কি সে তখন?
এমন ভাবনা ভেবে তিনি করল বউকে আপন।