বিশ্বভুবন মরু উদ্যানে মায়ার নিবাস গড়ে,
শিকড় গেড়েছি স্থায়ীত্বভাবে, রয়েছি ঘুমের ঘোরে।
মৃদু দমকায় ধসে যেতে পারে সজ্জিত নীড়খানি,
অসীম দরিয়া হবে যে নয়ন, ঝরবে শুধুই পানি।
বোধের দৃষ্টি হয়েছে অন্ধ মোহর মেরেছে দিলে,
রঙ্গশালায় রয়েছি মত্ত, ঈমান করেছি ঢিলে।
পরোখ্ করিনা হাশরের দিন ভুলেছি অগ্নিবীণা,
নিয়ামত পেয়ে ভুলেছি যাঁরে, দেবে কবে তাঁর দিনা?
বেঘোর সীমানা কতদূর পথ বিস্তৃত তার সীমা,
অজ্ঞতাবষে মৃদুমৃদু করে জমেছে পাপের বীমা।
জোয়ার ভাটার গর্জন এলে ভেঙে যায় সব ভ্রম,
ঈশান কিনারে সূর্য নুয়ালে বিফল হবে যে শ্রম।
অলস দুপুরে উজ্জ্বলাকাশে খুঁজি তারকার ভীড়,
মরুর চাদরে শিশির খুঁজিয়া হয়েছি যে অস্থির।
আনুগত্যের পৃষ্ঠা চিবালে পাবে কী কভু তাঁরে?
নূর-নবীজির সম্মান ভুলে যাবে তুমি কার দ্বারে?
মুসিবত থেকে রক্ষা পেলেই, ভুলে যায় তাঁর প্রীতি,
অপূরণ পাপ করেছি জগতে ভুলি নাই তাঁর স্মৃতি।
ভাঙাগড়ার সৈকতে ভেসে নিতে হবে তীর চিনে,
নইলে ওপার বিমুখ হবে, পূন্যের ওজন বীনে।
ভ্রান্তপথের শৃঙ্খল ছিঁড়ে এসো মুক্তির দলে,
অস্তিত্বের সম্মান রেখে মিলি সুশীতল ছায়াতলে।