আয় কে যাবি সঙ্গে আমার তাওহীদ তরীকূলে,
যেই তরীটা সাজানো রয় -- নবীর সুবাস ফুলে।
সুন্নতি ঘ্রাণ ছাড়বে ধরায় আয় ছুটে আয় তীরে,
সম্মানী সেই উম্মত হয়ে -- থেকো না মুখ ফিরে।
জানি ওরা আসবে না কেও, তবুও ডাকি এসো,
ঐ দেখা যায় আশার প্রদীপ নবীর না'য়ে বসো।
উঠলে তোমরা এই তরীতে স্বার্থক জীবন পাবে,
অন্য পথের ভিন্নমতে ---- --- দুকূল বৃথায় যাবে।
অট্টহাসির জোয়ার তোলে --আমার বাক্য শুনে,
মহাপণ্ডিত হয়ে তোমরা গাল পোড়াও রোজ চুনে
বিবেক বুদ্ধির কবর দিয়ে ভাসছো নেশার ঘোরে,
ডান হাতেরই শক্ত লাঠি ভাবছে "নেতায়" তোরে।
মুখ বাঁকিয়ে ধোঁয়ার ইঞ্জিন আড্ডায় থাকে ব্যস্ত,
নীতি বাক্য ঘ্যান-ঘ্যান লাগে, তাঁস পেটাতে ন্যস্ত।
যতোই বোঝাও বুঝবে না মন মোহর মারা দিলে,
ওদের নেতা করলে আদেশ তুষ করে হাড় কিলে
বোধের অস্ত্রেয় মরচে লেগে শানহীনে হয় ভোঁতা,
শানের মেকার আসলে দ্বারে সম্মানে দেয় গোতা।
ঐ পথে রোজ বাঁধার প্রাচীর উঠবেই জানি আমি,
জগৎ কাঁপা তাকবির দিয়ে --------হবো অগ্রগামী।
ঐ প্রদীপের উত্তাপে রোজ--- ঝলসাবে সব পাপি,
ঈমানটাকে তলোয়ার করে - আস্তিক হবে কাফি।
তাওহীদের ওই বিশাল তরী --ভিড়বে যখন ঘাটে,
মগেরমুলুক উধাও হয়ে - -----শান্তি আসবে পাটে।
((স্বরবৃত্ত ছন্দে, পর্তুগাল থেকে))