সন্ত্রাসীনামা
নওশাদ আলম

ঠান্ডা মাথার সন্ত্রাস তিনি, দেশ ধ্বংসের মহানায়ক,
পিতৃ বাকশাল কায়েমকালে ছিলেন সন্ত্রাস পালক।
লাগামহীন ছিল খুন গুম রেফ, অবরুদ্ধময় স্বাধীনতা,
"আয়না ঘরের" নির্মম প্রহারে গরম রক্ত হত হিমদলা।
পাতানো ছকের নির্বাচন মাঠে, দেখি পোষা কুত্তার ইতিহাস,
বাংলার উতবা ফেরাউন ত্রাসে জনগণ ফেলত নাভিশ্বাস।

আনুগত্যময় প্রসাশন পেতে পিলখানা করে ঝাঁঝরা,
সোনার বাংলায় পুলিশবাহিনী ফসল ধ্বংসের মাজরা।
দুর্নীতির উর্ধ্বগতি ক্রমান্বয়ে বিশ্বকে করত পরাজয়,
দেশের টাকা পরদেশে পুঁতে স্বদেশে প্রতি হয়েছিল নির্দয়।
সকল মন্ত্রণালয় দলীয়করণ, বর্ডার হত্যার নেই বিচার,
মসজিদে ঢুকে মসুল্লি হত্যা, নেই অনাড়ম্বর শিষ্টাচার।

শেয়ারবাজার, হলমার্ক, প্রশ্ন ফাঁস সবই যেন তার সৃষ্টি,
শাপলাচত্বরে মুসল্লীর উপর, রাত্রিকালে চালাই গুলির বৃষ্টি।
ভারতের কাছে দাসত্ব স্বীকার, শিক্ষা ব্যবস্থায় আনে ধস,
ব্যাংক সেক্টক লুটপাট করে, দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে খায় রস।
দেশী চিকিৎসায় ধস নামিয়ে ভারত চিকিৎসায় আগ্রহ,
ধর্ম বইয়ে মূর্তি ছাপিয়ে ইসলাম শিক্ষার করে বিদ্রোহ।

আবরার হত্যার হয়নি বিচার, কত ফেলানী ঝুলে তারে,
সাগর-রুনী, বিশ্বজিৎ, সাত খুন, বিচার আছে ঘাড়ে।
শিক্ষালয়ে আদুসন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল গোটা দেশে,
সাঙ্গপাঙ্গ খোলা রাস্তায় চাঁদা তুলতো বীরের বেশে।


মৌলিক অধিকার লুণ্ঠিত হত, অবমূল্যায়ন জনগন,
ছাত্র ছাত্রীর কোটা আন্দোলন লাশের স্তুপে করে শয়ন।
ছাত্র ঐক্যের তুমুল ঝড়ে টিকেনি জালেম স্বৈরাচার,
সন্ত্রাসনামা দেশে ফেলে প্রাণ বাঁচিয়ে হলেন পার।
সন্ত্রাসনামা কার হাতে নিরাপদ, যানে অগ্রিম দেশবাসী,
আল কুরআন হোক সংবিধান, তবেই ফুঁটবে সবার হাসি।