কোন ধর্মের জীর্ণ ভুমিতে আত্মদম্ভে গড়ছো নিবাস?
যে ভূপৃষ্ঠের সকল কুঠির নড়বড় করে ভাঙে বিশ্বাস।
যে সম্প্রদায় অন্ধ থাকেন নির্ণয়হীন পিতৃধর্মে,
অধঃপতনের গভীর সীমায় পৌঁছায় তারা কৃতকর্মে।
জন্মের ফুল ফুটুক তোমার ভিন্নধর্মী বৃক্ষ শাখায়,
শ্রেষ্ঠধর্ম ফুলদানিটায় ঠাঁই নিয়ো তুমি নিজ মহিমায়।
বিচারক করে তোমার বিবেক সকল ধর্ম কর নির্ণয়,
স্রষ্টার লেখা জীবন বিধান চিনলে তোমার শ্রেষ্ঠ বিজয়।
অন্ধ-বধির পথ খুঁজে পায় মহান প্রভুর কিতাব আলোয়,
সবল ব্যক্তি পথ ভুলে যায় ভ্রান্ত ধর্মের জগৎ কালোয়।
বোধের সূর্য হয়নি উদয়, অসভ্যতায় মেলছে পেখম,
নগ্নতা সাজ ধারালো অস্ত্রে যুবক সমাজ হচ্ছে যখম।
পিতা ও পুত্র আপন কন্যা এক সাথে থাকে নেশায় লিপ্ত,
মদ-সিগারেট দেদারসে চলে সেই বিধানটা নইতো তৃপ্ত।
কল্যানহীন এমন ধর্ম গিজ গিজ করে বিশ্ব উঠানে,
আত্মদম্ভ আকাশ সমান তবু না ফিরছে মহাকল্যানে।
আকাশ বাতাস চন্দ্র সুরুজ যাঁর ইশারায় জগৎ সৃষ্টি,
তাঁর বিধানের পূর্ণতা ভুলে অস্থানে খোঁজে পরশ বৃষ্টি।
খড় মাটি দিয়ে মূর্তি বানিয়ে উপাসনায় হয় আত্মহারা,
কুটকুটে মেঘে নিমজ্জিত ভাগ্য গগনে উজ্জ্বল তারা।
শ্রেষ্ঠ আলোর দর্শন পেয়ে আলোকিত নয় যে সম্প্রদায়,
মহান প্রভুর পথ ভুলে ওরা লুটোপুটি খায় নর্দমায়।
শেষ্ঠ বিধান ইসলামের গেট উন্মুক্ত রয় আমরণ ক্ষণ,
সেই বিধানের স্বান্বিধ্য পেয়ে সজ্জিত কর নতুন জীবন।