গর্জে ওঠো ছাত্র সমাজ ছিনিয়ে নাও অধিকার,
স্বাধীন কর সোনার বাংলা টেনে নাবাও স্বৈরাচার।
বুকের ভিতর জ্বলছে আগুন সারা দেশে উঠুক ঝড়,
বিজয় নিয়ে ফিরব ঘরে, পারলে মোদের রুদ্ধ কর।

ভয় করিনা বুলেট বোমা, রফিক শফিক আমার ভাই,
ন্যায্য দাবির মশাল তুলে রাজপথ জুড়ে নিয়েছি ঠাঁই।
যোদ্ধা ছাড়া সবাই নাকি এই বাংলায় রাজাকার!
এমন খেতাব দিতে পারে সন্ত্রাসী ওই স্বৈরাচার।

থাকবে না আর কোন কোটা, মেধায় হবে মূল্যায়ন,
ছাত্র সমাজ জোট বেঁধেছে করবে কোটা সংস্করণ।
দেশটা ছিঁড়ে খাচ্ছে ওরা, শাসন শোষণ লুটতরাজ,
নেড়িকুত্তা হাড়ের নেশায় সারাদেশে করে ক্যাওয়াজ।

নির্ভীক তরু প্রাণ দিয়ে যায় অধিকারের আনতে শির,
নব উত্থানে সোনার বাংলায় ছাত্রসমাজ শ্রেষ্ঠ বীর।
ভয় করে না কুত্তার কামড় ভয় করে না ষাঢ়ের বুট,
কলম ধরা ঐক্য হাতে খুলবে এবার শাড়ীর খুট।

রাজপথ কাঁপে থরথরিয়ে স্বৈরাচারীর কবর দে,
ভিনদেশী ঐ দাদার মুখে গোবর মূত্রের আস্তর দে।
সারাদেশে ঝড় উঠেছে ন্যায্য দাবির পক্ষে আজ,
স্বৈরাচারীর পতন করতে দেশ কাঁপায় ছাত্রসমাজ।

বুলেট কামান গোলার ভয়ে হয় না পিছু ছাত্রদল,
মৃত্যু মালা গলায় পড়ে ভাঙবে ওই লৌহ শৃঙ্খল।
গুলির মুখে বুক পেতে দেয়, কার আছে সে হিম্মত?
যুবা ছাত্রের গরম রক্তে হচ্ছে রাজপথ সৈকত।

বিজয় নেশায় পাগল ওরা, হোক না সৃষ্টি একাত্তর,
স্বৈরাচার দল নিপাত করে আনবে ঘরে নতুন ভোর।