মানবপূজার সেরা মন্দিরে ঢুকছে মানুষ দলে-দলে,
চামচামি আর চাটুকার হয়ে ঈমান হারায় ছলেবলে।
জানোয়ার রূপে সম্মান পেতে সামনের সারি করে ভারী,
কুলষের নীড়ে শিরক জমিয়ে বিবেক করছে মনোহারি।
সবখানে দেখি ব্যক্তির পূজো শিরক হচ্ছে ছড়াছড়ি,
খাদ্য জ্বালায় মরছে মানুষ ধূলোর বিছানায় গড়াগড়ি।
মানবপূজারি তারাতো কখনো দেখায় না কেউ মানবতা,
স্বার্থের দোর দিবানিশি খুঁড়ে গরিবের বুকে দেয় ব্যথা
কুর্ণিশে তার নেই সংকোচ পদোন্নতির পেলে চিঠি,
পায়ের ময়লা চেটেপুটে খায় ভেবে অমৃত মাখা পিঠি।
স্কুল-কলেজ অফিস কাছারি সবখানে দেখি একরেশ
স্বাধীনতা সব করেছে হরণ, পশুতে চালায় যেই দেশ।
স্বার্থপ্রেমিক আমলার কাছে প্রতারিত হয় দেশবাসী,
বংশের ছাঁইয়ে মাখন মাখিয়ে "দিসব" তৈরি করে রাশি।
রাজস্বখাতে লালবাতি জেলে মানবপূজাকে করে জয়,
দেশের কপালে দুর্দশা দেখে দেশবাসী মনে পোষে ভয়।
মুসলিম দেশে মানবপূজারি তারাকি পড়েনি কোরআন?
কুরআনহীন মানব শরীরে বসত করে যে শয়তান।
মানবপূজারি শয়তান থেকে মুক্তির রাহে পথধরো
কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে শিরকমুক্ত জীবন গড়ো।