আমার বাগে ফুলের মেলা দেখতে যদি চাও,
খোকা-খুকুরা দল বাধিয়া আমার পিছু নাও।
খুশির বায়ু উঠলো মনে,
ছুটল তারা মামার সনে।
পাপড়ি মেলে সবুজ শাখে ফুল-কলিরা হাসে,
প্রজাপতির চেপটা পাখে রাঙা নকশা ভাসে।
হাসনাহেনা জুঁই-চামেলী
বেলি-টগর নীল ক্যামেলি
রঙ বাহারি পোষাক পরে খোকা-খুকুরা এলো,
তাজাফুলের সুবাস নিতে আলত ছোঁয়া দিলো
মৌ-মাছিরা ফুলের কানে,
পরাগ বিলি করছে গানে।
কচি হাতের পরশ পেয়ে গোলাপ কলি নাচে,
কিট মাছিটা মধুর টানে ভেড়ে ফুলের কাছে।
ফুড়ুৎ করে ফড়িং উড়ে,
বসলো ঠিক ডগায় জুড়ে।
সবুজ পাতা ফুলের মাঝে মিশলো শিশুফুল,
খল-খলানি হাসির চোটে ভরছে বাগান কূল।
মামার মন অনেক খুশি,
খুকুর মুখে হাসির শশী।
খোকা-খুকুর ফুলের মুখে খুশির বারি নামে,
সেই হাসিটা বেচবো হাটে কিনবে কত দামে?
কোটি টাকায় যায় না কেনা
রবে অনেক পাওনা দেনা।
রঙিন ফুলে উঠলো ভরে আমার সারা বাগ,
দুই ফুলের মিলন দেখে কাটলো মনে দাগ।।
সুরুজ ফুল হিংসা--করে,
লুকিয়ে মাথা রাখছে ধরে।
সাত বাহারি ফুলের কলি ফুটছে আরো কত,
লতা ফুলের আঁড়ালে হাসে শিশুফুলেরা শত।
(মাত্রাবৃত্ত )