ধনী-গরীবের কত ব্যবধান দেখছি ভবের হাটে,
আরাম আয়েশে সাঁতরায় ধনী গরীব মরছে মাঠে।
গরীব শ্রমিক কর্মের পিছে দৌড়ায় দেখো রোজ,
পেটের অগ্নি জ্বলে দাউদাউ রাখেনা স্বজন খোঁজ।

ধনি ব্যক্তি ও নিত্য দৌঁড়ায়, হজম করতে ঘুষ,
আরাম আয়েশ খাচ্ছে বিবেক হারিয়ে নিত্য হুশ।
ডাইনিং ভরছে মুখোরুচি ফলে হচ্ছে না তবু রুচি,
কেউবা আবার নুন-ভাতে রোজ সাজায় খাদ্যসূচী।

অথচ গরীব, কৃষক মজুর হিমশিম খায় দামে,
শ্রম বিক্রির সামান্য টাকায় সংসার পড়ে জ্যামে।
কত ব্যবধান বিদ্যমান দেখো ধনী গরীবের মাঝে,
কেউবা ছুটছে খাদ্য জ্বালায় কারও চিন্তা বাজে।

রাতের আঁধারে পাজেরো নিয়ে নিষিদ্ধ নীড় খোঁজে,
ঘরের বউটা অপেক্ষারত টানা শ্বাস ফেলে বোঝে।
সারাটা দিবস রিক্সা চালিয়ে চাল-ডাল নিয়ে ফেরে,
ডাল-ভাত খেয়ে তৃপ্তি মিটায় পিছু টান নেই জেরে।

দুইবেলা যেনো নুন-ভাত পায় এটাই তাদের চাওয়া,
ধনীর চেয়েও তাদের নিবাসে বইছে সুখের হাওয়া।
দামি খাটেতেও নিদ্রা আসেনা ঔষধ খেয়েও রোজ,
পথশিশুগুলো না খেয়ে ঘুমায় রাখনি'ত কভু খোঁজ।

বিলাসবহুল গাড়িতে বসেও চিন্তিত কত মানুষ,
সুখের প্রাসাদে থেকে সন্তান হয়েছে যে অমানুষ।
কেউবা আবার ভাবছে মননে বিচ্ছেদ পথে হাটি,
অনেক মানুষ জীবনযুদ্ধে করছে যৌবন মাটি।

একটি বাচ্ছা বুকে পেতে দেখি, কত মা'র হাহাকার,
সদ্যশিশু ডাস্টবিনে ফেলে পেতে চাই নারী পার।
অবৈধ সেই মেলামেশাগুলো বইবে কে ওই কুলে?
মসিবতকালে অন্তর তামা হবে যে হাজার ভুলে।

দিনমজুরের মেধাবী পুত্র শিক্ষার সুযোগ পেয়ে,
আদর্শবান সন্তান হলো নুন ভাত তিনি খেয়ে।
কত ব্যবধান রাজত্ব করে এই পৃথিবীর ঘরে,
সবখানে দেখো কত ব্যবধান রয়েছে থরে থরে।
মাত্রাবৃত্ত