প্রিয় নীলা,
আজ যেন নিজেকেই ভীষণ অচেনা লাগছে। তাই তোমার হৃদয়ের ক্ষুদ্র কুটিরের বিন্দুতে লিখে যাচ্ছি আমার আপন সুর,যেখানে তোমার হৃদয় থাকে সেখানে-নিজের কাছে নিজেই!
কেমন আছো,
তোমার মন ভাল? জানতে খুব ইচ্ছে করছে।
শ্রাবণের মৃদু বাতাস উত্তর হতে ঝিরি ঝিরি বইছে, যেন সারা মাঠের সমস্ত সবুজ এই ক্ষুদ্র কুটিরে কড়া নাড়ছে। থেকে থেকে মায়াবতী মেঘ ঢেলে দিচ্ছে তার প্রাপ্তির সঞ্চয়।
শ্রাবণের সার্থকতার দান!
তবুও কি যেন নেই।
অথচ পুবের জানলার একটা পাল্লা খুললে, মুহূর্তেই এর সমস্ত স্বাদ নেয়া যায়।
তুমি কি বদ্ধ ঘরেই থাকবে? জানলা খুলে দেখো প্রকৃতি যেন সব সবুজ নিয়ে এসেছে তোমাকে দেবার জন্য।
কিসের এত অভিমান!
কিসের এত অনুরাগ!
এবারে না হয় নাই নিলে কদমগুচ্ছ,
কেন এত অপেক্ষা?
কেউ না হয় নাই আসলো,
এই ক্ষুদ্র কুটিরে অপরূপা সেজে।
প্রকৃতিকে বলে দিব-তোমার জন্য যেন একগুচ্ছ কদম ফুল বৃষ্টির সাথে মিশে দেয়,
তুমি নিশীথ রজনীতে দুহাত ভরে বৃষ্টি মেখ।
একা এখানে থাকতে আর ভালো লাগছে না। অবশ্য যেখানে যাব,সেখানেও একাই থাকতে হবে। আজকাল কেমন যেন মানুষের কাছে বড্ড অপ্রিয় হয়ে যাচ্ছি।তুমি তো জানো,
ঘোরাঘুরি কমই করতাম।তার মধ্যে কজনই বা ছিল, কজনের সাথেই বা আত্নার যোগ হয়েছে। এ হিসাব খুবই নগন্য।
কেউ স্বইচ্ছায়,কেউ কলাকৌশলে, কেউ আবার দাম্ভিকতার সাথে চলে গেছে। নিঃসঙ্গ ভালোবাসি জন্য এতটাই নিঃসঙ্গ হয়ে গেছি যে,
সস্নেহে মঙ্গল কামনা করার কেউ নেই।
এখানে শুধু আমি আর আমার সাথে আমিই নীরবে নিঃসঙ্গে পড়ে আছি রিক্ততার মরুভূমির পর বসন্ত দেখবো বলে।
যেখানেই স্নেহের বীজ বুনেছি, প্রিয় মুখগুলো
সেখানেই ঢেলে দিয়েছে নির্বাসনের কান্না।
কৌশলে অনেকেই আমার প্রিয় হয়েছে, আমি বা কজনেরই প্রিয় হলাম।
এই প্রিয় আর অপ্রিয়তার হিসেব শুধু বয়েই বেড়ালাম।
এবারে আর হলো না দেখা!
ইতি
তোমারই আপন আত্মীয় -