পাশের বাড়ির মেয়েটি নাম  রুমানা,
সুনয়না হলে কি যে ভাল হত !

তার চোঁখ দু’টি  দেখতে অসম্ভব সুন্দর,
ঠিক যেন হরিণের চোঁখের মত !
তাকে মনে হয়  জীবনানন্দ দাশের
বনলতা সেন ।
 
সুনয়নার চোঁখের কাজল হতে ইচ্ছে হয়,
বলতে  ইচ্ছে হয় কাজল করে রেখো
তোমার চোখের কোনে ,
আর তোমার ওই কাজল কালো চোঁখ
ঢেকে রাখো কেন ?
উন্মুক্ত করে দাও আমার জন্য !

তার কাজল কালো হরিণী চোখের
দিকে তাকালে দৃষ্টি ফেরানো যায় না ,
মনে হয় তার চোখের দিকে তাকিয়ে
সারাটা জীবন পার করে দেই।

তার চোখের দিকে তাকানো
আর পৃথিবীর জয় করা
আমার কাছে একই ব্যাপার,
লজ্জা নামক যে আবেগটি মেয়েদের মধ্যে তীব্র,
তা আমার ক্ষেত্রে অতি তীব্র ।

সুনয়না যখন স্কুলের ইউনিফর্ম পরে
আমার সামনে দিয়ে যেত
তখন আমার হৃদপিন্ড ধপাস ধপাস করে উঠতো !
তীব্র শীতে মানুষ যেমন কাঁপতে থাকে,
ঠিক তেমনি  কোন শীত ছাড়াই আমি কাঁপতে থাকি ।

আমি পড়তাম ক্লাশ এইটে আর
রুমানা পড়তো ক্লাস সেভেনে ,
আমাদের দুজনের স্কুল ছিল আলাদা ,
তাই দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ ।

তারপরও দেখা করার জন্য ক্লাস
ফাঁকি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম
তার স্কুলের সামনে  ।

সে হয়তো জানে না তার জন্য
একটি ছেলে প্রতিদিন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ,
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে তার স্কুলের সামনে
এক পলক দেখার জন্য !

সে কিভাবে বুঝবে তার জন্য একটি ছেলে ,
অসীম ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করে
প্রতিটি রাত প্রতিটি দিন ,প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত ।

সে হয়তো কখনো জানবেও না ,
একটি ছেলে তাকে  পাগলের মত ভালোবাসতো ।