পরম প্রেমের অনাবিল আবেশে
তোমার হাত যখন স্পর্শ করতাম
তখন আমার হৃদয় ছুঁয়ে যেত,
যেমন সকালের মিষ্টি রোদ
ভেজা ঘাসের ওপর উষ্ণতা ছড়িয়ে দেয় তেমনি।
তুমি লজ্জায় আমার হাত ধরতে চাইতে না,
তবু কপালে আঙুল বুলিয়ে
চুপিচুপি তোমার নামের অক্ষর লিখতে ।
তুমি বলতে,
আমার কপাল নাকি খুব ছোট,
সেখানে আমাদের নাম লিখবার জায়গা নেই।
তবু তোমার মাথা আমার বাম কাঁধে
গাছের হেলে পড়া ডালের মতো হেলে পড়ত।
সেদিন,
সবুজ প্রান্তরে একসঙ্গে হাঁটছিলাম।
আমার স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেল।
তুমি নিজের স্যান্ডেলও খুলে ফেললে,
নরম পায়ে আমার সঙ্গে
সবুজ ঘাসে হেঁটেছিলে।
সেদিন,
শেষবারের মতো ঘাসকে এত সবুজ দেখেছি,
যেমনটা তোমার সৌন্দর্যে ঝলমল করত।
আমাদের মনের আকাশে
তখন শেষবার রংধনু উঠেছিল
তার পূর্ণ রঙে।
আজও,
তোমার সেই স্মৃতিগুলো সাগরের ঢেউয়ের মতো
আমাকে বারবার ডুবিয়ে দেয়।
আমি খুঁজি সেই সমুদ্রের তীর,
খুঁজি তোমার হাতের সেই উষ্ণতা।
আমার কপাল এখন অনেক বড়,
কিন্তু তোমার আঙুলের স্পর্শ
আমার চোখের সীমানা পেরিয়ে গেছে।
আমার স্যান্ডেল আর ছিঁড়ে না,
আমি অন্ধকারের ভেতর পথ খুঁজতে শিখে গেছি।
তবুও,
আমার হাত আজ শীতল,
আর বাম কাঁধে এখনো ব্যথা।
তুমি নেই, কিন্তু তোমার স্মৃতিগুলো
শীতের রাতের মতো,
সঙ্গহীন,দীর্ঘ, আর ঠান্ডা।