সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে বউকে নিয়ে ঘুরতে যাব ভাবলাম আমি ,
বউকে বললাম , পাশের পার্কটা খুবই সুন্দর, ঘুরতে যাবো বিকেল অন্ত ।

বউ বলল, "চলো যাই, আজকে দিনটা খুবই ভালো মনও ভালো, একটু হাঁটবো, ফুল দেখবো, মেঘ দেখবো আকাশ জুড়ে ,সঙ্গে একটু বাতাসও লাগাবো সারা গায়ে। তোমার হাতটি ধরে হাঁটবো আমি সমস্ত পার্ক জুড়ে ।


ঘুরতে গেলাম দু'জনে পার্কে , তার হাতে হাত রেখে হাঁটছি পায়ে পায়ে ।চারপাশে সবুজ গাছ, ফুলে ফুলে রাঙিয়ে সাঁঝ।
 
হঠাৎ দেখি সামনে দিয়ে, হেঁটে যায় এক মেয়ে, 
আমি একটু তাকাই তার দিকে, বিপদ ঘটলো সেখান থেকে ।

দেখি বউয়ের চোখে  হিংসের আগুন ,
ঠোঁট দুটি চেপে ধরে, অগ্নি মূর্তি ধারণ করে,

বউ বললো তুমি তাকালে কেন ওর দিকে, আগে থেকে পরিচয় আছে নাকি ? প্রেম কি ছিল তার সাথে?

আমি বললাম সোনা,বলো কি তুমি? মিথ্যে এসব কথা, 
সামনে দিয়ে গেলো সে ,তাই দেখলাম আমার চেনা কিনা ।

বউ বললো  আমি সবে বুঝি তোমার মুখের ভাব, তোমার চোখের চাহনি, সবই জানি।

তোমার চোখে কি শুধু মেয়েরাই পড়ে? পার্কের  ফুল-পাতা সবকিছু রেখে, শুধু তাকাও ওদেরই দিকে ।

আমি বললাম অকারনে ঝগড়া করছো এসব সবই মিথ্যে।

বউ বললো চুপ! তোমার অজুহাত শুনতে চাই না।তুমি কি ভাবো আমি বোকা? তুমি নও ধোয়া তুলসী পাতা । ভিতরে ভিতরে আমার সঙ্গে প্রতারণা।

বললাম আমি প্রতারণা আমি কি কখনো করতে পারি, তোমার সঙ্গে, যখন তোমায় জীবনসঙ্গী ভেবে করেছি বিয়ে রেজিস্ট্রি করে ।

রেগে বউ বলল সবই বুঝি বোঝাতে হবে না অমন করে ।

আমি তখন চুপচাপ রইলাম, কিছু বলার নেই, 
বউয়ের অভিমান তখন আকাশ ছোঁয়া, ক্ষেপে আছে যাবে না কিছু বলা । হটাৎ যদি আবার বেঁকে বসে ।

পার্কের সৌন্দর্য সব গেলাম  ভুলে ,বসে রইলাম বিমর্ষ মুখে, 
বউয়ের অভিমান ভাঙাতে ,
বলে উঠলাম হটাৎ শেষে  "সোনা, তুমি ছাড়া কারো দিকে তাকানো আমার ছিল ভুল ক্ষমা কর একটু হেসে।

বউ মুচকি হেসে একটু বেঁকে  বলল আমায় ঠিক আছে, এবার না হয় মাফ করলাম , মনে রেখ, যেন আর  তাকাতে না দেখি, অন্য কোন নারীর দিকে।
মনে মনে বললাম বেড়ানোর স্বাদ মিটে গেছে আর নিয়ে যাব না কোথাও তোমায় সঙ্গে করে ।
বউয়ের অভিমান ভাঙ্গিয়ে বাড়ি ফিরলাম হাতটি ধরে ।

এমনি করে হাজার স্বামী নির্যাতন হয় বউয়ের হাতে , শেষে যদি সংসার ভাঙ্গে সেই ভয়ে ।














সন্দেহ
মোঃ বজলুর রশীদ
১১/১০/২৪
জলঢাকা, নীলফামারী।