শীতের রাত চারদিকে নিস্তব্ধতা,শীত যেন চাদরের মতো মেলে দিয়েছে তার অস্তিত্ব।
খোলা বারান্দা দিয়ে আসা হিমেল বাতাস জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে চাঁদের আলোর মত ।

আমি টেবিলে বসে ,
ব্যস্ত অফিসের ফাইল নিয়ে ,
ফাইলগুলোকে মনে হচ্ছে অবিন্যস্ত ধূলোর পাহাড়।

হঠাৎ পায়ের শব্দে চমকে উঠলাম,
পেছনে দেখি মেঘলা আমার বউ ।
মেঘের মতোই নরম, এক কাপ চা হাতে দাঁড়িয়ে।

সে বলল,এত রাত অবধি কাজ করছ কেন? একটু বিশ্রাম নাও ।
আমি বললাম,"কাজটা কাল জমা দিতে হবে, তুমি বরং শুয়ে পড়ো।"
মেঘলা কিছু না বলে চায়ের কাপটা রেখে চলে গেল,
নিঃশব্দতার মধ্যে তার পায়ের শব্দও মিলিয়ে গেল।


রাত গভীর হয়েছে,
আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ,
মনে নেই হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল,
দেখলাম পাশে কেউ নেই।
তবে কপালে মমতার উষ্ণতা পেলাম মেঘলার
সে আমার গায়ে চাদর জড়িয়ে দিয়ে গেছে,
যেন শীতের হিম বাতাস আমার শরীরে আঘাত না করে।

টেবিলের পাশে দেখি ছোট্ট এক চিরকুট,
তাতে লেখা..
তোমার কাজ নিশ্চয় তোমার শরীরের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ  নয় !

কেন জানি নিজের অজান্তে
চোখে পানি এলো।
এ কোন বৃষ্টি চোখের মেঘের মধ্যে?
দুঃখের? নাকি ভালোবাসার?

আমি চিরকুটি হাতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলাম, তারপর উঠে গিয়ে মেঘলার পাশে শুয়ে পড়লাম ।
কেন জানি মনে হয়, অপেক্ষমাণ মেঘগুলো জমে গেছে আকাশজুড়ে।
ব্যস্ততার বাঁধা পেরিয়ে অর্ধাঙ্গিনীর অনুভূতিগুলো খুঁজতে থাকলাম আমার অভিধানে ....