প্রতিদিন আমরা একটা খোলস পরে থাকি অভ্যাসবশত,
মুখের হাসি ঠোঁটে লেগে থাকে,
অথচ ভেতরটা ফাঁকা,
গাঢ় অন্ধকার শূন্য মনে হয়,
কেউ জিজ্ঞেস করে না,
আমরাও বলি না,
প্রশ্নগুলোর উত্তর না থাকায় শিখে যাই চুপ থাকতে,
এই খোলস আমাদের রক্ষাকবচ,
আবার কখনও বন্দিশালা।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়,
সব মুখোশধারী মানুষ,
আমি নিজেও তাদেরই একজন,
খোলস ছাড়া মানুষ হয়তো একটু বেশি নগ্ন হয়ে যায়,
তাই অস্বস্তি লাগে,
সত্যিটা খুব গাঢ়,
কুয়াশার মতো ধোঁয়াশা,
ভেঙে ফেলার সাহস খুব কম মানুষের হয়।

কিন্তু রাতের গভীরে, যখন নিজের সাথে নিজে থাকি,
তখন খোলসটা একটু আলগা হয়,
পুরোনো কথাগুলো ফিরে আসে,
মনে করিয়ে দেয় সুখ দুঃখ বেদনার মত আবেগগুলো ।

খোলস ভাঙতে ইচ্ছা করে
মুক্ত বাতাস গায়ে মেখে বাঁচতে ইচ্ছা করে,
কিন্তু আমি ভয় পাই,
কেউ যদি দেখে ফেলে আসল আমিটা,
যদি কারও সহ্য না হয়!
তাই প্রতিদিন নতুন খোলস পরি,
আরও শক্ত, আরও নিখুঁত।

তবে আমি জানি,
একদিন সব খোলস ঝরে পড়বে,
ঝরাপাতার মতো পড়ে থাকবে,
পুরোনো পরিচয়ের টুকরো,
ঠিক তখন হয়তো প্রথমবারের মতো,
আমার আমিকে চিনবো।





১৫/১০/২০২৪
জলঢাকা, নীলফামারী ।