নিশীথ  রাত্রে যখন আসে ঝড়,
তখন মনে হয়, ধরণীর বুকে তান্ডব শুরু।

পবনের তীব্র চঞ্চলতা ঘুর্নিতে,
গাছপালা ,ধূলিকণা সবই  ঊর্ধ্বগামী।

সমুদ্রে তীরের পানি উঠে আকাশ ছুঁতে চায় ,
জলের বিশাল ঢেউ যেন মেঘ সৃষ্টি করে।

মানুষের মনে তখন অজানা এক ভয়,
কি হবে, কোথায় যাবে, এই দুর্যোগের হাত থেকে ?

তারপরেও প্রকৃতি দেখায় তার ক্ষমতা,
প্রকৃতির কাছে মানুষ অতি নগণ্য ।

পিছনে রেখে যায় ভাঙ্গা ঘর, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘরের টিন,
আবার আশার আলো জ্বালাতে হয় নতুন করে।

এটাই জীবনের খেলা,
ঘূর্ণিঝড়ের সাথে লড়াই করে বাঁচার চেষ্টা।

অন্ধকারে আলো খুঁজে পাওয়া,
আরও শক্তিশালী হতে শেখা ।

প্রকৃতির রোষে আমরা শিখি ধৈর্য ,সৃষ্টি করি নতুন আশ্রয়, নতুন আশার প্রেরণা।

ঘূর্ণিঝড় শেষে যখন সূর্য উঠে ,নতুন দিনের সূচনা হয়,
নতুন স্বপ্নের জাল বোনা শিখি ।

বসুন্ধরা যেন তার নিজস্ব ভাষায় বলে ,আমি আছি, আমি থাকবো, শক্তি ও সাহস ভরা হৃদয়ে ।

ঝড়ের পর প্রকৃতি ফিরে পায় তার রূপ,
সবুজের মায়ায় মোড়ানো শান্তির নীড় ।






ঘূর্ণিঝড়
বজলুর রশীদ
২৬/৫/২০২৪
জলঢাকা।