আমি ভোরের রক্তিম সূর্যের আলোয়
নিঃশব্দে হেঁটে চলি বহমান নদীর তীরে,
পায়ে অনুভব করি শিশির ভেজা ঘাস,
চেয়ে থাকি অপলক দৃষ্টিতে বিশাল নীল গগনে।
নদীর দুই ধারে দেখি সাদা কাশফুলের ঢেউ,
পাখির শব্দে ভাঙে সারি সারি ঘুমন্ত গাছের পাতা
বাতাসে ভেসে আসে শিউলি ফুলের গন্ধ,
আমি দাঁড়িয়ে আছি একা,
চারপাশে নিস্তব্ধতা,
কোন সারা শব্দ নেই,
মনে হয় প্রকৃতি আমার সঙ্গে কথা বলছে।
আমার সামনে দিয়ে যে নদী বয়ে গেছে
মৃদু ঢেউয়ে আকাশের নীল ছায়া পড়েছে সেখানে,
পূর্ব দিগন্তে নদীর ওপারে সদ্য সূর্যটা উঁকি দিচ্ছে
ঝলমল ঝলমল করে আলো ছড়াচ্ছে চারিদিকে।
আমি তখন ভাবি, কত কবিতা জমে আছে
এই নদীর দু'ধারে কাশফুলের আড়ালে
মেঘের লুকোচুরি খেলার মাঝে,
লম্বা লম্বা তালগাছে পাকা তালের মিষ্টি ঘ্রাণে
আমন ধানের বেড়ে ওঠা চারার মাঝে ।
কিছু বলা হয় না, কিছু শোনা যায় না,
তবু মনে হয়, সবই যেন আমারই কথা,
আমারই কবিতা।
এভাবেই আমি লিখে যাই
নির্জন ভোরের আলোর ভেতর ,
একটি কবিতার জন্ম হয় ,
যা শুধু প্রকৃতির আর
একান্ত আমার ।
একটি কবিতার জন্ম
মোঃ বজলুর রশীদ
০১/১০/২০২৪
জলঢাকা, নীলফামারী।