রুহ

রুহ
কবি
প্রকাশনী আরাফ
সম্পাদক মনি খন্দকার
প্রচ্ছদ শিল্পী মোঃ বজলুর রশীদ
প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০২৩
বিক্রয় মূল্য ২০০

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

সাহিত্যের নির্যাস থেকে প্রবাহমান কালের ধারায় মানব সভ্যতায় রচিত হয়েছে আলোর প্রাচীর। পূর্বে সাহিত্য ছিলো ধর্মীয় মিথের সংমিশ্রণে চেতনার ঋদ্ধ সেলুলয়েড। যা কালের কপোলে টিপ দিয়ে বিশ্ব সমাজকে জাগ্রত করেছে। ধর্ম যখন সমাজ বিকাশের দেওয়াল নির্মান করছিলো কিছু সংখ্যক সুবিধাভোগী তখন ধার্মীকের মুখোশ পড়ে রুপক চরিত্রে নিজেদের সূর্যের প্রতিবিম্ব রুপে উপস্থাপন করতে থাকে। প্রকৃত সত্যের অপব্যাখায় জন্ম নেয় বিচিত্র ধারার, যার একটি রেনেসাঁস বিপ্লব নামে পরিচিত। ক্রমাগত ধর্মীয় মূল্যবোধ বহুলাংশে বন্দি হতে থাকে লালকুঠিতে। ভারত বর্ষের কবিদের সৃষ্ট ধর্মীয় সাহিত্য বিশ্ব সাহিত্যের প্রথম টাওয়ার, যার লিস্টে উঠে মিলিয়ন মিলিয়ন ভারতীয় এখনো আনন্দ উপভোগ করে।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভারতের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বিশেষ করে পশ্চিম বাংলার সাহিত্য বিকাশকে একটি রণাঙ্গন বলে মনে হয়েছে। বহু ভাষাভাষীর সাথে সংগ্রাম করে তাদের সম্মুখে এগিয়ে চলতে হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির ব্যবধান একটি তাঁরকাঁটার বেড়া ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলা ভাষা আজ অঙ্কুরের পথ থেকে শাখা প্রশাখা মেলেছে, বিশ্ব সাহিত্যের সাথে গতি মিলিয়ে সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; বিশ্ব কাব্য সাহিত্যের উঠোনে বাঙালি কবিদের অবস্থান এখন সুদৃঢ়।

বাংলাদেশ ও ভারতীয় কবিদের উপস্থিতিতে আমাদের এ প্রয়াস বিশাল ব্যাপ্তীময় কিছু না হলেও দু'দেশের সাহিত্য সাংস্কৃতিক মিলনে যৎকিঞ্চিত হলেও ভুমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। কোন ধর্ম বর্ণ জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ নয়, স্বীয় ঐতিহ্য রক্ষার্থে নিজ নিজ প্রচেষ্টায় সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। সম্মিলিত প্রয়াসে বাঙালির প্রভা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। উপস্থিত সহযাত্রী সকল কবি, আমন্ত্রিত অতিথি, শুভাকাঙ্ক্ষী সহ সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।

ভূমিকা

মানব সৃষ্টির শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ধর্মচর্চা প্রচলিত হয়ে আসছে। ধর্ম মানুষকে সভ্য ও বিকশিত হবার পথ দেখিয়েছে। বাঙালি জাতিও এর ব্যাতিক্রম নয়। বাঙালি জাতির হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় রয়েছে ধর্মীয় চেতনার সুদীপ্ত মূল্যবোধ। ধর্ম যখন মানুষকে অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে আলোয় উদ্ভাসিত করছিল, কিছু সংখ্যক মানুষ তখন নিজেদের হীন স্বার্থে ধর্মকে অধর্মে রুপান্তরিত করে শোষণ ও শাসনের যাতাকলে পিষ্ট করেছে। কালের বিবর্তনে কেউ কেউ স্রষ্টার সৃষ্টিকে শয়তানের আসওয়াশায় রুপান্তরিত করেছে, যা মানব সভ্যতা বিকাশের পথে অন্তরায়।

আমাদের জাতীয় চেতনা ও মূল্যবোধকে আরো সমৃদ্ধশালী করতে হলে সকল ধর্মের প্রতি উদারনীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ধর্মে অধিক পরিমান আধ্যাত্মিক চর্চার পথকে প্রশস্থ করতে হবে। আধ্যাত্মিকতার চর্চা স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টিত জীব বৈচিত্রের প্রতি ভালোবাসা ও মানব সভ্যতাকে কুলষ মুক্ত হবার শিক্ষা দেয়, যে শিক্ষা থেকে আমরা ক্রমশঃ দূরে সরে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ও ভারত আধ্যাত্মিক কবিতা উৎসব আমাদের পড়ছি দুদেশের সাহিত্য ও ধর্মীয় চর্চায় বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো আন্তরিক করবে বলে আমি মনে করি। হয়তো আমাদের এ প্রয়াশ ক্ষুদ্র কিন্তু আগামীতে এমনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রেমের সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।

আমি আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, ভারত থেকে আগত আমন্ত্রিত সম্মানিত কবিকূল ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের সকল কবি সাহিত্যিকদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ সবাইকে কুলষ মুক্ত হবার তৌফিক দান করুন। আমিন।

উৎসর্গ

বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে মাতৃভাষা রক্ষার্থে যারা নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন সেই সব মহান শহীদদের স্মরণে

কবিতা

এখানে রুহ বইয়ের ১টি কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
শূণ্য