২৭/১১/২২



গল্পের শেষটা কি হবে আমি জানি না ,
শুধু জানি তুমি চলে যাচ্ছ ,
পিছনে ফেরার কোনো চেষ্টা তুমি করছো না ,
আমি চেয়ে আছি তোমার দিকে ,
তোমাকে ডাকার শেষ শক্তি টুকু আমার অবশিষ্ট নেই !

তখন আমি পনের কিংবা ষোল ,
তোমাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে
থাকতাম তোমাদের চৌরাস্তা মোড়ে
তুমি আসতে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে
স্কুলের ইউনিফর্মে তোমাকে মনে হত, 
তুমিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী ।

ফেরাতে পারি না নয়ন ,তোমার পানে চেয়ে
তুমি এত সুন্দরী কেন , বলতো ?
আমার এ বলাতে নেই কোনও
লাজ- সংকোচ- জড়তা -দ্বিধা,
যার দিকে  তাকিয়ে সারা জীবন
পার করে দেয়া যায় ।

যখন তুমি আমার পাশ দিয়ে যেতে,
অথচ এক পলকের জন্যও তাকাতে না
নিজেকে তখন খুব অসহায় মনে হত ,
মনে হত পৃথিবীর কুৎসিত প্রাণী  আমি ।


নিজেকে সামলাতে পারতাম না , 
ভয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতাম
হয়তো কখনো তোমাকে বলতে পারবো না ,
আমি তোমাকে ভালবাসি ।

তোমাদের বাড়ির রাস্তাটা আমার খুব চেনা ,
প্রতিদিন আমি কয়েকবার ,
যেতাম সেই রাস্তা দিয়ে !
যদি তোমাকে একটু দেখতে পাই সেই আশায়,
তোমাকে এক নজর দেখার জন্য,
মন ব্যাকুল হয়ে থাকত ।

আঁড় চোখে শুধু একবার তোমাকে
দেখার জন্য তোমার বাড়ির
দিকে তাকিয়ে থাকতাম ।

আমি প্রতিদিন ভোরে জেগে উঠি,
শুধু তোমাকে দেখার আশায়
যে দেখার মধ্যে কোন পাপ নেই ।


কত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি,
তোমাকে ভেবে ভেবে  
তোমাকে ভাবতে গিয়ে কত রাত ,
যে না খেয়ে ঘুমিয়েছি ?

তোমার দেখা পাবো - এই ভেবে ,
তোমাদের  চৌরাস্তায়  হাজার বছর
দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়,
শুধু একবার তোমার দেখা পাবো বলে,
বারবার তোমাদের চৌরাস্তায় আসা ।

তোমার একটু দেখা পাবো বলে ,
বাউলের মতো আমি ঘর ছাড়া
আমি যদি প্রজাপতি হতাম !
তোমার বাড়িতে যেয়ে
তোমার খোঁপায় বসতাম ,
কানে কানে বলতাম
ভালবাসি ভালোবাসি ।

শেষ পর্যন্ত আমি তোমার দেখা পেলাম ,
কিন্তু একা না ,পাশে একটি ছেলে ,
যে ছেলেটার হাত ধরে তুমি
পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছ ,
আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে..
তোমার চলে যাওয়া দেখছি ।

তোমাকে যা দিয়েছি তা ফেরত নেব কিভাবে ...
মন আর সাহায্য কি ফেরত নেয়া যায় ?