রচনা কাল-০৭.০৪.২০২১
পৃথিবীতে এলো করোনা
জনজীবনে ঘটেছে দূর্দশা,
লকডাউনে শুয়ে আছি গৃহে একলা
দৈন্দিন চাহিদা মেটাতে সবাই কোণঠাসা।
ছোট্র কুটিরে বন্ধিশালা
আখিঁ জ্বলে করে খেলা,
মুখখানি অশ্রুজলে ভেজা
অসহিষ্ণু কষ্টে যায় সারাবেলা।
অনেকেই থাকেনা বন্দী কুটিরে
সরকারি বিধিনিষেধ নাহি মেনে,
নাক মুছতে মুছতে মাস্কটি পরে
হেঁটে হেঁটে যায় নিকটস্থ হাঁটে।
দ্রব্যের উর্ধ্ব মূল্য দিয়ে দোকানীকে
দেনা-ধারে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে।
লকডাউন কার্যকরে দায়িত্বরত পুলিশ দেখে
হাঁটে ঘুরাফেরা করা মানুষ লুকোচুরি খেলে,
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে
জনসমাগম ভেঙে হাঁট থেকে দৌড়ে পলায়ন করে।
ঘরে একা শুয়ে আছি , এযেন কোনঠাষা।
সাদা পোশাকে সারি সারি লাশের মিছিল
ধনী-গরিব সবাই একের পথের পথিক,
কেঁদে কেঁদে স্বজনের হারিয়ে গেছে মুখের ভাষা
এ যেন চারদিকে অন্ধকার অমবস্যা।
ছোট ঘরে বন্ধি শালা
আখি জ্বলে করে খেলা
মায়াবী মুখ খানি ঢাকা
বিদেশি ফেরত এসে
সোজা ১৪দিনের কোরিন্টিনে আসে।
বাড়িতে যেতে চাও
করিওনা আর রাও
টেক্সি করে যাও
কতদিন দিন দেখেনি মা বোনের
মুখ খানি
খানিকক্ষণ পড়ে
আসেনা কেউ ধারে।
বাড়ির আঙ্গিনায় এসে
মুহূর্তে ভেঙে পরে
কেউ নাই কিছুই নাই
ভাই নাই বান্ধব নাই
পাড়া-পড়শীর ডরে।
টাকা পাঠালাম খালে
বউ কথা কয় আঙুল তুলে
অতীত গেছে তারাতাড়ি ভুলে।
দাওনা একটু পানি
শুকিয়ে গেছে মুখ খানি
বিদেশ থাকি আনছি দেখো এই নাও শাড়ি।
দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলো ;
তোমার সাথে আড়ি!
বাড়ি নাই,ঘর নাই-কিসের এত বাহাদুরি
সোনাদানা মিছে সবপরি।
বেদনার বিকাল ঘুড়ে
সন্ধ্যা এলো ফিরে
গাছতলায় থাকে পরি।
কোভিট-19 বেধে ধরি।