স্মার্টফোন হতে চাই
************
মোল্লা আজিজুল হক

নার্সারিতে পড়ে শিশু রোজ স্কুলে যায়
মুখটা কেন মলিন শিশুর মনটা ভার বেজায়!

শ্রেণিকক্ষের জানলা ধরে তাকিয়ে থাকে দূরে
শিশুর মনে কোনসে বাঁশী বাজে করুণ সুরে!

পড়ালেখায় আনমনা সে লক্ষ্য করেন টিচার
বুকের কাছে টেনে নিয়ে দুঃখ খোঁজেন তার।

রাজা-রাণীর গল্প বলেন, ভূতের কাহিনী
শোনান টিচার তবুও তার চোখে আসে পানি।

দুষ্টু বানর কেমন  করে ভেংচি কাটে জানো
ফোকলামুখে বানর নাকি গাইতে পারে গানও!

এই কথাতে শিশুর ঠোঁটে হাসির দেখা পান
সুযোগ বুঝে টিচার এবার অন্য কথায় যান!

বড় হয়ে কী হতে চাও?টিচার আদর করে
শিশুর কাছে জানতে চান মায়ের মিষ্টি স্বরে।

প্রশ্ন শুনে শিশুর মুখে ছোটে  কথার বান
স্মার্টফোন চাই যে হতে নয়তো এটা ফান!

তার কথাতে গোটা ক্লাস খিলখিলিয়ে হাসে
টিচার কেবল ঘন হয়ে বসেন শিশুর পাশে!

নানান রকম ভাবেন টিচার বিস্ময়ে অবাক
কেন এমন ইচ্ছে শিশুর একটু শোনা যাক!

বলে শিশু যখনই যাই মায়ের কাছাকাছি
মা রেগে কন পড়তে বসো এখন ব্যস্ত আছি।

ভাইয়ের কাছে থাকে যদি কোন প্রয়োজন
ভাইয়া বলে পরে আসিস করব সল্যুশন!

মায়ের গলা জড়িয়ে যখন ঘুমুতে যাই রাতে
চ্যাট করে মা কারো সাথে স্মার্টফোন হাতে!

তাইতো আমার ইচ্ছে করে হব স্মার্টফোন
দিন-রাত্রি মায়ের সাথে থাকবো সারাক্ষণ!!
------------------------------------------------------------------
১১/১২/২০১৯