কিছু মানুষ ধরণীতে কোন মুখ নিয়ে বেঁচে থাকে !? নির্লজ্জ মানুষ গুলোর নাম শুনলেই বমাল করে দিতে ইচ্ছে হয় । যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে বিক্রয় করে দিয়ে ছিলেন...তারা আজ কোন মুখে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের অংশীদার বলেন ? তারা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধার চেতনা নিয়ে কথা বলে বাংলায় ? কেন আজ তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সিংঙ্গাসনে বসিয়ে বরের মূল্যায়ন করা হয় ? কোন অধিকারে দেশে নেতৃত্ব করে ,এই কীটপতঙ্গের দল গুলি ? ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে শ্লোগান করে মুক্তিযোদ্ধের ...এই প্রাণীদের বমালের ইতিহাসটা অনেক বড়... তারা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বিক্রয় করে আজ স্বাধীন ভাবে চলছে ! দেশের কোটি কোট টাকা-পয়সা লুটপাট করে রাজপ্রাসাদ গড়েছেন...আর যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে মৃত্যুকে হাতে তুলে নিয়ে ছিলেন । তারা কেন আজ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা ,শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ইত্যাদি । আপনি হয়তো জানেন না এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কতোটু ভংয়কর দেশে ও বিদেশে দুষ্কর্মে জড়িত । অথচ তারা আজ মুক্তিযোদ্ধা ! এই বমালদের কারণে শত শত মুক্তিযোদ্ধারা লাঞ্ছিত,বঞ্ছিত,অত্যাচরিত ক্ষতবিক্ষত হয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে খাদ্য এবং চিকিৎসাহীন অবস্থায় । গত সোমবার একজন ৭১ এর রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিকন্দর আলীকে আমরা হারিয়েছি । বর্তমানে উনার পরিবার সূচনীয়, মুক্তিযোদ্ধা সিকন্দর আলীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর হয়ছিল । তাঁর নিজের কোন বসতভিটা নেই , সাচনাবাজারে তিনি একটি ঝপড়ি ঘরে বসবাস করেছিলেন । তিনি ২ছেলে ও ২ মেয়ের বিবাহযোগ্য ,এক ছেলে ও এক মেয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ছে । বয়সের ভারে ভেঙ্গে পড়ে ছিলেন তিনি । সরকারের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এসব প্রতিনিধীত্ব করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যপার । আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রালয় অধীনে দেশের প্রতিটি জেলায় অফিস রয়েছে । সমাজে সুধী ,সম্পদশীল তর্থপ্রযুক্তি জানা অনেক মুক্তিযোদ্ধারা রয়েছে । তারা কি উনাকে জীবিত অবস্থায় কিছু করতে পেরেছেন ? শুধু প্রযুক্তি মাধ্যমে তার ব্যাথা গুলো আমাদের কাছে প্রশমিত করেছে ।
(এই কলঙ্ক আমরা কোথায় রাখবো ?)