মহাবিশ্বে মানুষ বিজ্ঞান ও ধর্ম । প্রথমত ধর্ম নিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক, জানি এ নিয়ে পৃথিবীতে কোন কথা বলা চলেনা! ধর্ম ধার্মিকরা সব কিছুর মাত্রাধিক ঊর্ধ্বে। দেশের কথা কি বলো ৫৭ ধারা জারি। এ নিয়ে টুঁ শব্দ করা উচিত হবেনা। তবুও কেন জানি মনে হয় এখন ধর্মটা কৈশরের পুতুলখেলার ছলের মত। ইচ্চে হলে তাকে নিয়ে পুতুলখেলার ছলে, খোলা আকাশে খেলানো যায় খুব সহজে। ইসরাইল, ফিলিস্তিনী, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছিল। মাত্র কিছু দিন আগে কথা এই খেলার মূল কারণ ছিল ধর্ম ও ধার্মিকবাদ বিষয়টি। এই কথাটা বলার পর হয়ত গায়ে আগুন জ্বলে উঠতে পারে ধার্মিকদের। কিন্তু তাদের এই পুঁজিবাদী খেলায় কত হাজার লক্ষ নিঃস্পাপ শিশু সহ প্রাণ হারিয়েছিল তার হিসাব কি দিয়ে ব্যাখা করা যায়? প্রথমত হিটলারের কথা বলা যাক, হিটলারের মূল উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীকে একাই শাসন করা, কিন্ত সেই হিটলারও র্নিবিচারে মানুষ হত্যা এবং গণ হত্যা করেনি মানুষকে। ভারতবর্ষের কথা যদি বলি আগে নিজেকে ভারতের দালাল বলতে হবে। "১৮৯৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভারতের নতুন ভাইসরয় নিযুক্ত হলেন লর্ড কার্জন। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি একটি রাজকীয় ঘোষণাবলে সুবৃহৎ বঙ্গপ্রদেশ দ্বিখণ্ডিত করলেন। গঠিত হল পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ। ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য ছিল, এর মাধ্যমে অনুন্নত পূর্ববঙ্গের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু বঙ্গভঙ্গের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সেযুগের ভারতের সবচেয়ে অগ্রসর প্রদেশটিকে দ্বিখণ্ডিত করে ‘ডিভাইড ও রুল’ পদ্ধতিতে ঔপনিবেশিক শাসন কায়েম রাখা। তাছাড়া হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টিও ছিল ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য।" এখন বাংলাদেশকে বলতে পারি ১৯৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধদের পর বাংলাদেশ অর্জন করে সার্বভৌম অসাম্প্রদায়িক বাংঙ্গালী রাষ্ট্র। যা ৭৫এর পর স্বাধীনতা অর্জনের মুল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এদেশে আবার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনতির পাঁয়তারা চালায় এবং সম্পুর্ণ সফল হয়। এর প্রকৃত উদারণ বর্তমান বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান। সত্য কথা বলতে ভয় পায় সবাই-ই আর মিথ্যের দুঃসাহস অনেক বেশি। তাই আমিও একটু মিথ্যা বলি, মিথ্যেবাদী ধার্মিকদের মত । ভারতের পাঠানো গরুছাগল নিয়ে ইদানীং হাস্যকর কিছু নাটকীয় হলেও পানির মত সত্য। কোরবানির ঈদে বাণিজ্য চলে পশু নিয়ে। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া থেকে আসে মোটাতাজা গরু। ইরান সৌদিআরব সিরিয়া থেকে আসে উট, দুম্বা। আমরা মহা আনন্দে মনের পশুত্ব তাড়াতে হাজার লক্ষ টাকা দিয়ে কোরবান করি নিরীহ প্রাণিদের।
আকাশে কথা উড়ে ভারত নাকি বাংঙ্গালীকে মারার জন্য গরুর পেটের ভেতর বিঁষ ঢুকিয়ে দেয়!? জ্বালার মাঝে জ্বালা, হাটুর উপর বিঁষফোড়া। আমরা বাংঙ্গালী! ভারতীও গরুর মাংস খেয়ে আমাদের নাকি আবার কিছুই হয়না। আমরা মহা আনন্দে বলতে পারি 'দুগ্ধ' দানকারী হিন্দুদের দেবীমার চামড়া ছাড়িয়ে মাংস খাই। তাতে আমাদের কিচ্ছু হয়না। তাহলে কি ভারত দেবীমাতাকে বিক্রি করে পূজার্চনা করে তারা ? এর মাঝে কি কোন বাণিজ্যক স্বার্থরক্ষার প্রয়োজন নেই দেশে বিদেশের সাথে? আর কি বলবো ঢাকার মত জাগায় রামপুরা হাতিরঝিল মন্দিরের দরজায় গরু জবাই করা হয় প্রকাশ্যে । এরপর নাকি গরুর মাংস খাওয়ার জন্য ভারত একজনকে হত্যা করেছে! সাথে সংখ্যালঘু ও উপজাতিদের উপর ধর্ষণ বরাদ্দ এইটাও কিন্তু ধর্ম ধার্মিকদের কাজ আনন্দের প্রয়োজনে বা ধর্মের রক্ষার প্রয়োজনে। ঐ মহা ধার্মিকদের বাণিজ্য আর ধর্মের পাথক্য কি সেখানে? মানুষ আর ধর্মের পাথক্য কোথায় ? বরঞ্চ এর থেকে প্রাচীনত্বের মানুষ গুলোর আচরণ অনেক ভাল ছিল এই সভ্যতার সমাজ থেকে । বিজ্ঞান নিয়ে নতুন করে কি বলো তবুও বলি 'বিজ্ঞান হল কোন কিছুর প্রতি বিস্তর গবেষণা করে তার গুঢ় রহস্য উদঘাটন করা। যার ফলশ্রুতি, অনেক গুলো গুঢ় রহস্য একটি সম্পূর্ণ নতুন জিনিস আবিষ্কার করে, যা মানুষের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে, সেটাকে বিজ্ঞান বলে মূলত। বিজ্ঞান কোন মানুষকে আঘাত করেনা,কোন ধর্ম ধার্মিকদের মত যুদ্ধ বাঁধাতে পারেনা, বিজ্ঞান কোন আস্তিকদের মত, এথষ্টিবাদীর পিছু পিছু ছুটে না কাপুরুষদের মত, বিজ্ঞান কোন আস্তিকদের মত ছুরি চাপাতি নিয়ে মানুষ হত্যার পুতুলখেলা করেনা, ভাঙ্গতে পারেনা অকাট-মূর্খের মত মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, উপাসনালয় এমন কি মানুষের বসতবাড়ি ধার্মিকদের মত ভাঙ্গেনা। আমি তাদেরকেই স্বরণ করি নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে যারা শুধু আমাদের দিয়ে গেছেন। আর্কিমিডিস ,লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ,এরিস্টটল ,গালিলেও গালিলেই, অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুক, আলবার্ট আইনস্টাইন , রবার্ট ওপেনহেইমার, আলহাজেন...বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। আর তাদেরকেই অকীক জ্ঞানপ্রাপ্ত ঈশ্বর বলা যায় নিঃসন্দহে সব সময়ে। যা আজও বাংঙ্গালী বাস্তব রূপে অর্জন করতে পারেনি। শুধু ধর্ম-ধ্বংস ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ হত্যা নিয়ে যত মাথা ব্যাথা ছিল ।