পাখিযুগল যুগযুগান্তর যতো খুশী ততোবার,
বনে-জলে-জঙ্গলে-গাছে-ডালে বাঁধে সংসার,
এটুকু তাদের নৈসর্গিক অধিকার।
আমার জন্মজন্মান্তরের দাবি,
তোমার সনে কাটাবো বছর এক কোটি।
ভাবছো, ও মাই গড! একি আপদ! অতি বিপত্তি।
এ-ক কো-টি ব-ছ-র! তাতো অসমাপ্ত নিষ্পত্তি।
কেবল হলো চার, কেমন করে চলবে আর!
মহাদুঃখিত আমি, কিছুই করার নেই আমার।
তোমার চন্দনচর্চিত দেহ বিশ্লেষণে কোটি বছর দরকার।
তোমার আলতা চরণের দু'চিমটি মাধুরী দিয়ে,
এক জনমে রংধনুর রক্তিম অংশ আরও রাঙাবো।
তোমার হাসি হতে খসে পড়া দু'মুঠো আলো,
কয়েক লক্ষ বছরে অশ্লেষা নক্ষত্রের দেশে বিলাবো।
যেন মন্ত্রপূত নিস্পন্দ নজর, আঁখিঠার ভয়ংকর,
গুনতে হবে কত লক্ষ সময় আত্মঘাতী রয় আমার কণ্ঠস্বর।
তোমার মুখে কুমারী সুর, নিরব করে ক্রোশ দূর।
নূপুরে কোমল তাল, রসিক বানায় নিত্য আকাল।
চুল যেন গুমোট কালো মেঘ, কালবৈশাখী বেগ।
তুমি আমার ঘরের চাঁদ, আন্দোলিত নিদ্রালস রাত।
বনলতার বর্ষীয়ান প্রেমিক জীবনানন্দের মতো
আমিও হাজার বছর ধরে উপমার প্রাচীরে
তোমায় যতক্ষণ না করবো বন্দী,
ততক্ষণ আমি তোমার সঙ্গী।
সমস্ত তুমি অস্তমিত সূর্য, আমি অথৈজলের সমুদ্র।
চিরবিকেলে মৃদু চঞ্চল বুকে ডুবে-ডুবে আমায় করিতেছো প্রাণবন্ত।
উৎসর্গঃ
আমাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী (১৬/৮/২১) উপলক্ষে প্রিয় স্ত্রী "সুমিত্রা" কে।
রচনাকালঃ
১৪ আগস্ট, ২০২১।