ঘন গাছগাছালির ডাল পাতার ফাঁকফোকর দিয়ে
সূর্যের চিকিমিকি আলো আসার মতই
আমার আগমন এ ভূমিশয্যায়।
রাতের অন্ধকার প্রহর, এটাই প্রথম সকাল।
প্রথম নিশ্বাসে প্রথম কান্না,
যেন সব হারানোর দুঃখ প্রকাশ।
কান্নায় ভারী মায়াবী জন্মমাটি, অচেনা চারিদিক।
একতরফা কথোপকথনে ছিলো কয়েকটা সহাস্যমুখ।
কানে-কানে বাড়ি-বাড়ি খবর দিলো বাতাস।
জ্ঞানীর চিন্তনে চিতাভস্ম, বুক ভরে দীর্ঘশ্বাস।

তারপর...
কচি ঘাসের মতো নরম নরম বেড়ে ওঠা।
কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টির মতো
চলে আমার হাসি-কান্না-খেলা।
শামুকের মতো কিছুদিন,
কিছুদিন কচ্ছপের মতো,
অবশেষে হরিণ গতি পেল পা।

তারপর.....
ভীর। মুখের ভীর। পৃথিবী যেন মুখমালার নীড়।
কথার কারুকার্য। কথায় কথায় মধু মিষ্টি ক্ষীর।

তারপর....
বোধগম্য হয় এগুলো মুখ নয়, মুখোশধারী।
বোধগম্য হয় এগুলো কথা নয়, মিছরিরছুরি।
আড়ালে আবডালে মুখোশের ছড়াছড়ি।
চোখ আমার অন্ধত্বের ভূমি!
ভীষণ বিস্মিত আমি।
সবুজ ব্যতীত পৃথিবী যতটুকু ফ্যাঁকাসে হবে,
মুখোশ তারচেয়েও ভয়ংকর বিদঘুটে।

তারপর....
একাকীত্ব।
দূর-দূরত্ব।
সকালের ব্রাশ ও বাথরুম ছাড়া আর কিছুতেই সতেজতা নেই।

তারপর...
নেই অবশিষ্ট অনুকূল প্রতিকূল পক্ষ।
যেন বালুচর, এই ভেজা এই শুকনা এই ডুবন্ত।
আছে কেবল অপেক্ষা, শেষ নিশ্বাসের।
শেষ নিশ্বাস ক্ষণে কেবল কান্না ছাড়া সব হবে।
মুক্তির উপলব্ধি হবে, দীর্ঘশ্বাস স্বাধীনতা পাবে।
আনন্দে আলিঙ্গন হবে সজোরে বাহুডোরে।।



রচনাকালঃ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রি.