কৃষ্ণ পক্ষের রাত
মিশমিশে অন্ধকার।
ভোরের আগমনের শব্দে
অন্ধকার তার কালো রঙ ধূসর করে,
তারপর ভোরের স্পর্শে পলায়ন।
যখন দুঃসময়
ঘাত প্রতিঘাতের ঘষামাজায়
সকালের রোদের মত স্পষ্ট দেখা যায়,
দরজার এপাশে-ওপাশে
আপনজনের মুখ।
গোপনের মুখোশ ।
পুরাতন বিল্ডিং এর ফাঁকফোকরে যে গাছ জন্মে
তা ফল গাছও নয়।
কাঠ গাছও নয়।
ছায়াতরুও নয়।
কেবল পরগাছা।
চলন্ত গাড়ি থেকে উঁকি দিলেই চোখে পড়ে
রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধ গাছ গাছালির দৌড়।
অনড়ের দৌড়।
আসলে তা ঘোড়ার ডিম। কিছুই নয়।
চোখের দেখা দৃশ্যপটও ভুল হয়।
ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হলে, হোক।
এককে ভয় নাই রে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনি আমি
তবে একলা চল রে।
আপন বুঝে।
মুখোশ বুঝে।
আপন পর নির্ণয় করি।
শুভঙ্করের ফাঁকিটাকে আমি যেন ধরতে পারি।