সন্ধ্যা শিল্পী
গোধূলির রক্তিম আভায় রঞ্জিত একটি মায়াবী প্রহরে,
শাপলা বেষ্টিত জনপদে,
আমি দেখেছি হাজার বছর ধরে গীতমুখরিত বিহঙ্গ
উড়ে যায় আপন নীড়ের ঠিকানায়।
সূর্য্য আপনাকে সময়ের বেদিতে উৎসর্গ করে,
প্রকৃতিও অপরূপ বাসনায়
একটি মোহনিয়া সন্ধ্যা প্রসব করে আমার জন্য।
সেই মধু ক্ষণে এক সহযায়ী আমার পথের সঙ্গী।
সেই রমনীর সাথে মহাকালের দূরত্ব সম সময়ে
একবার দৃষ্টি বিনিময় হয়।
আমি অনুভব করলাম,
প্রান্তরে প্রান্তরে নিরন্তর মায়া ছড়িয়ে পরেছে।
কী দূর্লভ সময় এ জীবনে এলো!
যখনই তার নিসর্গসুন্দর কথার ব্যঞ্জনায়
মন মম প্রেমে সিক্ত হয়,
তখনই প্রেম নির্দেশ করে অবারিত হতে।
সে আমার নিস্তল আকুতি অনুভব করে
ভৈরবী রাগের গান গায়,
“আজ অপেক্ষার মরণ হলে
বিহ্বল হবে না আমার প্রাণের অধিশ্বর।
এই সন্ধ্যা শিল্পী যদি রেখে যায় প্রেমের স্বাক্ষর
তোমার হৃদয়ে, তবে তুমি কুন্ঠিত হবে না
রাখ প্রতি স্বাক্ষর সন্ধ্যাযাপন কালে”