না
যখন বাংলা মৎস্যন্যায় সমাজ ব্যবস্থায় আচ্ছন্ন,
দূর্নীতি কুঁড়েকুঁড়ে নষ্ট করছে সোনার বাংলা প্রত্যয়,
ভেলকীবাজির গোলকধাঁধাঁয় ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ
তখন শতশত কিশোর-কিশোরীর মনের গহীনে,
বাংলাদেশের আগুনের ফুলকি জ্বলে।
যখন মেনে নেয়ার মানিয়ে নেয়ার এক অশুভ খেয়ালী শিক্ষা,
কীভাবে অসভ্য করে গড়ছে ওদের কচিকাচা শিশু মনকে,
কেমন করে ওদের মানুষ-মুকুল অঙ্কুরে বিনষ্ট করছে,
সেই নির্মম প্রতিকুল পরিবেশে খুঁদে শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে
ওদের হাতের লাল-সবুজের পতাকা
কী ক্ষিপ্রতা, কী প্রতাপ করেছে ধারণ!
প্রতিজ্ঞা, অশুভ চক্রকে রুখে দেবার,
দুর্বার গতিতে শুভ শক্তিকে এগিয়ে নেবার,
ওরা মহাশক্তির দোর্দান্ড বাংলাদেশ;
এক অনন্য সুন্দর অবিনাশি বাংলাদেশের বাতিঘর।
আর পঁচা-গলা-নোংড়া চিন্তা যারা ধারণ করে,
‘না’ নামক পরিচ্ছন্ন শব্দ ছুড়ে দিচ্ছে
ঐ সকল জ্ঞানহীন বিদ্যাসগরদের নাকের ডগায়।
ঐ কিশোর-কিশোরীরা বাংলার খুঁদে রাজা,
ওরা নতুন প্রভাতে ভোরের পাখি,
ভোরের ফুল, ভোরের হাওয়া,
ওরা ভোরের প্রথম আলো।
নতুন প্রত্যয়ে, দারুন দৃঢ়তায়,নিরলস শ্রমে, নিবির সধনায়
ওদের স্বপ্নের আলপনা দৃশ্যমান করবে সোনালী প্রান্তরে।
ওদের কীর্তিকিরণ বিচ্ছুরিবে,
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া,
রূপসী থেকে পাটুরিয়ায়।
ওরা বিজয় পর্বতের চুড়ায় থাকা বাংলাদেশের বাতিঘর।
যখনই অমানিশার তান্ডব নাটক মঞ্চায়িত হবে,
মুক্তিযোদ্ধার পূতঃপবিত্র রক্ত বিধৌত
সোনার বাংলা নামক ধর্মশালয়।
মুক্তিযোদ্ধার চেতনায়, মুক্তিযুদ্ধের ক্ষিপ্রতায় দীক্ষা নেয়া
ওদের রাজশক্তি আক্ষেপে আক্রোশে গর্জে ওঠবে।
ঘৃণ্য কুশিলব হতে অপারগতা প্রকাশিবে
আর ‘না’ নামক একটি পরিচ্ছন্ন শব্দের বিস্ফোরন ঘটাবে
দেশদ্রোহী দুর্বৃত্ত কুলাঙ্গারদের মাজারে।