চৈত্রের কিশোর
জিয়াউল হায়দার
চৈত্র মাসের দুপুর বেলা ছোট্টো কিশোর ধায়,
কচি কচি আমগুলি সব পারতে তারা চায়।
আগুনবৃষ্টি পরছে গায়ে নেই যে তাদের মনে,
বুড়ো বুড়ি দেয় যে বকা কেউ কি তা শোনে।
অগ্নি মাসের আগ্নেয় বাতাস বইছে বার বার,
তবু তারা বৈরী পরিবেশে মানছে নাহি হার।
কারো কাছে ঝিনুক আছে, কারো কাছে চাকু,
দুই নয়নের পলকে তারা পার হয়ে যায় শাকু।
চৈত্র মাসের ঝি ঝি পোকা ধরতে গিয়ে হায়,
পাড়া পরশির মুখের কথা আর কত যে খায়।
তবু তারা হাসি মুখে সইবে কি আর বকা,
মুখ ভেংচি দিয়ে তারা দৌড়বে আঁকা বাঁকা।
নদীর তীরে বটের ছায়ে বসবে কিশোর দল,
তৃষ্ণা মিটাতে তারা পান করবে নদীর জল।
আকাশ পানে চেয়ে তারা ধরবে মোনাজাত
বৃষ্টি এলে তাদের মনের পূরণ হবে সাধ।
অগ্নি মাসে রবির তাপে গরম হয় জল,
সেই জলেতে নাইতে নেমে করে কোলাহল।
হৈ চৈ করে মাতিয়ে তোলে নদীর কালো জল,
ডুবিয়ে ডুবিয়ে চোখ করছে তারা লাল।
ফিরার পথে বলবে তারা আসবি আবার কাল।
দুষ্টমি সব শেষ করে ফিরবে সাঁঝের বেলা,
মায়ের কোলে মাথা রেখে স্বপ্ন দেখে নতুন কোন খেলা।