কবি জিয়াউল হায়দার
বাসর বচন
বাসর রাতে প্রেমে ভরা এই তন্নি তনুশ্রীর
মুখ পানে চেয়ে,চিন্তার রোষানলে পড়ি।
এই সুন্দর,এই পবিত্র,
এই প্রেম,এই ঐশ্বর্য্য
আমার কী করে হলো!
শিউলি হয়ে ঝরে পড়ে মরু উদ্যানে,
ফাগুনের ভাষা কবিতা হয়ে এলো আমার অসমাপ্ত পান্ডুলিপিতে,
সুরের লহর লীলায় নিতি ভাঙ্গা বীণারতন্ত্রীতে
কিসের যেন বান ডেকেছে আবেসের সমুদ্রে।
অন্ধকারের গহ্বরে বসা অবগুন্ঠিত অচঞ্চল বদনার
মুখরিত হৃদয়ের প্রান্তর হতে বচন উচ্চারিত হয়,
’’আমার ভিতরের অনন্ত ‘আমি’ তোমার মহিমাময়ী,
বিশুদ্ধ সত্তার নির্মোহ অহংকার,
যুগোত্তীর্ন কল্যাণের হাজার বছরের পথচারিনী,
অন্ধকার পথের দিশারি,
আমি তোমার অপূর্ণ সত্তার পূর্ণা।’’
কামনার উৎসবে কোন ফুল বিকশিত হলো?
লজ্জার প্রহরে কোন সৌরভ প্রহরী হয়ে ছড়িয়ে পরল বিশুদ্ধ অহংকারে?
আলোর ঝলক কোন শুভ নজরানা
জীবনের অলঙ্কার হয়ে এল পার্থিব জীবনে অপার্থিব আনন্দে?
আমরা প্রেমের কুঞ্জ বনে,
দুটি পাপড়ির একটি কলি ভালবাসার শাখায় ফোটে।
রাত-দিনের যুগল মিলনে এক দিবস হয়,
দুই নদীর মিলন মঞ্চকে এক মোহনা বলে,
তুমি আমি,আমি তুমি এক সত্তায় যুগল বন্দী
জগতের সমান্তরাল সুন্দরে আমরা দুঁহি সহযাত্রী হাজার বছরের।
বাসর পূর্ব প্রহরের আমরা
বাসর প্রহরের এই আমরা
নতুন মালঞ্চের নতুন মালি
ফোটাবো নানান রঙে বাহারি ফুলের কলি।