একুশ শতকে দাঁড়িয়ে ভীষণ জানতে ইচ্ছে করছে-
আমরা কি সত্যিই স্বাধীন?
বৈষম্যহীন, মুক্ত আর সুশাসনের যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন হয়েছি-
আমরা কি সেই স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি!
যদি স্বাধীন হই তবে কেন?
বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চলতে বার বার আমাকে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা-
কাগজ কলম আর সেমিনারেই আজ লুকায়িত
এমনকি নিভৃতি পল্লীর কৃষক কৃষাণীরও দীর্ঘশ্বাস-
সভ্যতার ক্রীতদাস হয়ে যেন জন্মেছি
শত বঞ্চনা গঞ্জনা আমাদের নিত্যসঙ্গী।
  
একাত্তরে স্বপ্ন ছিলো পতাকা পেলে
সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,
দ্রারিদ্রতাকে রেখে আসবো যাদুঘরে
লিখবনা কারও বেদনার কোন গল্প-কবিতা
থাকবেনা আর কোন বৈষম্য।
কিন্তু স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছর পরেও
শোষকেরা বৈষম্যের বেড়াজাল টেনে-
সামনে এগিয়ে যাওয়া পথ রুদ্ধ করেছে।
তাইতো ইচ্ছা করে গলা ফাটিয়ে বলি-
‘স্বাধীনতা আর তুমি থেকো না এমন শব্দহীন
সাধ্যাতীত দূরত্বে আমার
সহসা গভীর রাতে বৃষ্টিপতনের মতো বেজে ওঠো,
ছুঁয়ে যাও আমার শরীর
তুমি হও ভূমি লগ্ন খুলে দিয়ে সমস্ত নিষেধ।’