তোমার জন্মদিনে ভাবনাহীন সকাল,
তোমার জন্মদিনে ভাবনাহীন বিকেল,
তোমার জন্মদিনে ভাবনাহীন সারাদিন।
হয়তো আছ বসে, করছো গল্প, সপ্নের সীমাহীন।
তোমার জন্মদিনে, প্রিয়তম!
আমি ভাবনাহীন।
গতবছর এই দিনে সপ্ন ছিল কতো, এখন সমিচীন
তোমার জন্মদিনে, প্রিয়তম!
আমি ভাবনাহীন।
একসাথে ঘোরাঘুরি হাতে হাত রেখে, আমায় দেখে দেখে
কেটেছিল তোমার দিন
আজ এই দিনে, তোমার জন্মদিনে
আমি ভাবনাহীন।
বন্ধুবান্ধব সহপাঠী সব, করেছিলে রব,
আনন্দের সেই দিন
আজ এই দিনে, তোমার জন্মদিনে
আমি ভাবনাহীন।
অনেক স্মৃতিই মুছে গেল, কত হাসির গল্প নিয়ে সপ্নেভরা দিন,
তোমার জন্মদিনে, প্রিয়তম!
আমি ভাবনাহীন।
ভাল থাক, খুশি থাক, সুখে কাটুক দিন, শুভ জন্মদিন
তোমার জন্মদিনে, প্রিয়তম!
আমিই ভাবনাহীন।
(প্রিয়তমার জন্মদিনে প্রিয়তমাকে সারপ্রাইজ দেওয়া ছিল আনন্দের এবং এই সারপ্রাইজের জন্য প্রিয়তমা প্রতিবছর অপেক্ষা করে থাকতো। ঠিক এই ভাবেই তারা ৪/৫ বছর বন্ধুবান্ধব সহপাঠী ও কাছের সবাইকে নিয়ে প্রিয়তমার জন্মদিন পালন করেছে। এবং প্রতিটি জন্মদিন ছিল একেক সময়ের চেয়ে ভিন্নতার। একটা জন্মদিন পালন করার পর আগত জন্মদিনের সারপ্রাইজ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়ে যেত। তাদের এই সুন্দর সম্পর্কের বিচ্ছেদ হওয়ার পর, চলমান জন্মদিন নিয়ে প্রেমিকের ভাবনাহীন সারাদিন নামে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। আর এই কবিতাটিই ছিল প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা তার জন্মদিনের উপহার।)