২৪টা চলে যাচ্ছে অনেক কিছু দিয়ে, অনেক কিছু নিয়ে। যাকে দিয়েছে, সে ভীষণ খুশি।
যার নিয়েছে, সে খুশি নয়।
২৫ আসছে, অনেকের দিবে, আবার অনেকেরই নিবে।
এমনকরে তারাও খুশি-অখুশি হবে। এটিই চলমান ও চিরন্তন।
মল্লিকার বাবা গেল ২৪ এর জুনে, রোজির বাবা ঘাতকের খুনে,
ছিনতাই এর কবলে রঞ্জু, এক্সিডেন্টে কামাল।
ময়নারও মেয়ে হলো, ছেলের পিতা মন্টু,
রোজিও আবার মা হলো, বাবা হলোনা ঝন্টু।
প্রতারিত মামুন এখন সিঙ্গাপুরে থাকে, ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিলো পোস্ট অফিসের ডাকে। সংসার বুঝি আর টিকলো না করিম চাচার মেয়ের।
বিলকিস ভাবী বিল্ডিং দিল, টাকা কুড়ি জমিয়ে। আব্দুল চাচার দুই ছেলেই ধনি টাকা কামিয়ে। বন্ধু জামিল গাড়ী কিনলো সখ পূরনের আশায়, জলিলের ক্যান্সার হলো জর্দা সিগারেটের নেশায়।
রনি ভাইয়ের চাকরি হলো ভাল বেতন পেয়ে, বাবা মায়ের ফুটলো হাসি নতুন বাসায় যেয়ে। হাসি আপার ছোট্ট খুশি আধু আধু ডাকে, রনি আর হাসি আপা খুশি নিয়ে তাকে।
স্কলারশিপে বিদেশ গেল রফিক ভাইয়ের মেয়ে, চঞ্চল এর দিন চলে টাকাকড়ি চেয়ে। দিপক বাবুর মেয়েও নাকি ভার্সিটিতে পড়ে, বাবলু এখন বড় নেতা রাজনীতি করে।
নোমানের প্রমোশন হলো বেতন বেশি পায়, বিজন এখন ময়মনসিংহ ছেড়ে ঢাকায় দিন কাটায়। কামরুল বাবা হলো দেখা হলোনা চব্বিশে, সুমন নাকি বিয়ে করবে জুনের ছাব্বিশে।
এ রকম হাজার স্মৃতি, হাজার গল্প দেখা
এই ছোট্ট জীবনে হবেনা সব লেখা।
আরও কত হাজার স্মৃতি হাজার লোকের ভীড়ে
ভাল কিছু আসুক ফিরে পচিশের নীড়ে। পচিশটা হউক অহংকারের দেশকে ভালোবেসে, প্রার্থনা এটাই থাকলো পরিশেষে।