অতসী ঐ চোখ জোড়ালো, মন ভরালো জলে
প্রান ফিরালো মুখের ভাষায়, চেনা শহর তলে।
প্রানে আছো, গ্রানে আছো, আছো গগনতলে
চোখে আছো, মুখে আছো, আছো ছায়াতলে।
অতসী ঐ চোখ জোড়াল, মন ভরালো জলে
জোৎস্না রাতের নিশি তারা, কদমগাছের তলে।
কদমতলে বসে বসেই, বাজতো কানে সুর
সেই সুরেতেই মন ভরাতো, লাগতো সুমধুর।
তখন থেকেই এ মনের প্রানে বাজে সুর
এখন তুমি কাছে নও বহুদূর বহুদূর-
কোথা যাই, কোথায় পাই, ছায়াতল ছায়াতল-
তুমিহীন এ-মন আমার- হলো রসাতল, হলো রসাতল।
ধরনীর এ-ধারে বর্নীল রঙে- কতো মধুময়, কতো মধুময়
নীরবে গাই গান, ভাঙা সুর তালে-
হয়তো এ হিসাব হবে কোন এক কালে
তুমিহীন এ-মন আমার হলো রসাতল, হলো রসাতল।
এ দেহে প্রান আছে, যায় দিন কাল,
এ দেহে ঘ্রাণ আছে, আছে সুর তাল
এ যেন আমি নই অবিকল ছবি,
কথা যদিও প্যাচাই, নই আমি কবি!
অতসী, তোমার জন্য সবি।