শ্রাবণ আকাশে আজ চাঁদ নেই একটা নিগুঢ় অন্ধকার! আজ আকাশটা যেন সারাদিনই কেঁদেছে মনও বিষাদের ঘিরে, সত্যিই অমাবস্যা! সবই গিলে খেতে চায়; গিলে খেতে চায় আমাদের সমস্ত অর্জন আর প্রিয় এই দেশটাকে; ধমকে গেলো গেছে জীবন এবং জীবিকা।

অন্ধকারই যদি গিলে খায় তবে এ কোন আলো এসে দাঁড়ায় দুয়ারে? আলো চাই বলে এতদিন দেখিয়েছে আলো সে আলো কি আলো নয়? বিষাদে ঘিরে আছে মন ও মানুষ,
শ্লোগান সর্বস্ব দেশ চিন্তা আমাদের দেবেনা কোনকিছু; আলোড়ন যতই হোক আলোড়ন তাতে মিটে কি সমস্ত তৃষ্ণা?  
অভয় আর ভয়ে যে রাত নেমে এসেছিল এই বাঙলায় যে রক্তের নদী বেয়ে নেমেছি সমুদ্রে যার ঋণ এখনো শোধ হয়নি এটা ভুলে গিয়েছি কি?
মধ্যে রাতে যারা বিক্রি করেছিল হাজার বছরের লালিত সংসার ও সংস্কৃতি তাকে কি করে আপন ভেবে জড়িয়ে নিয়েছি বুকে! ভুল থেকে ভুল হলে তা কিন্তু ক্ষমার অযাজনীয় শব্দে বন্দি রেখে লাভ কি।

আলো চাই আলো দিনবদলের আলো! কে দেবে আলো প্রগতিময় রাত যে রাতে স্বপ্নের সারথি হয়ে মিশে গেছে প্রান্তিকতায় হ্যাঁ এইরকম আলো দরকার এই নিগুঢ় অন্ধকারে; গান আর গানে জীবনের জয় হবে সেই গান কে বাধে? সেই মানুষ এখন আর নেই,
যারা শ্লোগানে মুখোর করে রাজপথ তাদের আমরা চিনি এবং নিশ্চয়ই চিনি।

পথ থেকে পথে বাউল মনে যে গেয়েছিল গান সাম্যের চির আনন্দে সেই গানে মিলিয়ে দেখো গলা নিশ্চয়ই প্রশান্তি ছুঁয়ে যাবে দেহে এবং প্রাণে, প্রান্তিক মানুষ হয়ে সরু পথে নেমেছে কৃষক শ্রমিক মজুর মানুষের চিরকল্যাণে তাঁকে মানুষ ভেবেছিলে কি? গ্রামের পথ পাকা হলেই মানুষ জীবন মান উন্নত হয়ে যাবে যারা বলেছিলে তারা এখন কোথায়? মুখ লুকিয়ে অন্ধকারে গেলেই কি মুখ লুকানো যায়?
সবাই মানুষ খুঁজে সত্যিই মানুষ।






_______________
লালমনিরহাট
০১.০৮.২০২৪