(নীলাঞ্জনা সাহাকে নিবেদন)


নীলাঞ্জনা
মেনে নিয়েছি যা চেয়েছিলে কিংবা চাইছো; সত্যি বলতে কি চেয়েছিলাম সুখ খুঁজে সুখ ছুঁয়ে দুজন মিলেই দেখতে, স্বপ্ন এবং বাস্তবতার নিরিখে জয় করতে জীবন আর জীবন জয়ের গানে দুজনই মেলাতে সুর অথচ যা তুমি হয়তো চাওনি! মেনে নিয়েছি তোমার সব সিদ্ধান্ত যদি তোমার সমস্ত জয় হয় যদি জয় কর নিজেকে তাইতো ফিরে যাচ্ছি তুমি যা চেয়েছিলে।

নীলাঞ্জনা
বসন্ত আসে ঋতুর পরিবর্তনে যদিও মনে বসন্ত আছে বলেই তোমাকে জয় করতে কবি হতে চাইছিলাম লিখতে কতশত কবিতা যদিও আমার কবিতার কোন পাঠক নেই; নেই কোন কাব্যগ্রন্থ তবে তুমিই আমার একমাত্র পাঠক ভেবে কবিতার কাছে প্রেমালিঙ্গণ করেছি রাতজাগা পাখি হয়ে নয়; উচ্চারিত শব্দে কাঁপাতে তোমার হৃদয় মন্দির।

নীলাঞ্জনা
অনিন্দ্যসুন্দরে ভালোবাসার অনাবিল আনন্দ নিয়ে কবি ও কবিতা মধ্যে মেলবন্ধনে তুমিই ছিলে কাব্যের মহানায়িকা; কবিতার প্রতিটি শব্দে জেগেছিল প্রেম কবির মত বলতে চেয়েছি ভালোবাসো জয়ী কর প্রেম কবি ও কবিতার মত করে।

নীলাঞ্জনা
যা চেয়েছিলে মেনে নিয়ে ফিরে এসেছি আমার ভাঙা ঘরে; যে ঘরের চালের ফুটো দিয়ে রাতের চাঁদের যেমন জ্যোৎস্নার প্লাবনে জুড়ে দিয়ে মন এবং দিনের প্রথম সূর্যের আলোও এসে ছুয়ে দিয়েছে প্রথম কিরণে ঝলমলিয়ে,
ফিরে এসেছি নিজ ঘরে সেই ঘর যেখানে আমার প্রিয় জননী অপেক্ষা করে তার সন্তানের।

_________

লালমনিরহাট
১২.০৯.২০২৪