স্বপ্ন আমারও ছিল
এই ঘর এই সংসার, বাবা মা,
ভাইবোন, সুখময় দিন একটা
আগামীর স্বপ্ন, থমকে গেল
জীবন যেন ঝড় অকাল
বৈশাখী! লণ্ডভণ্ড হলো সব,
যে পুরুষকে ভালবেসে জয়
করতে চাইছিলাম জীবন
হোক না কুঁড়েঘর ভাঙা চাল,
ভাঙা ঘরের চাল দিয়েই
দেখতে চেয়েছি দিনের সূর্য
রাতের চাঁদ, ঘিরে থাকুক
সুখ।

প্রথম রাতেই নাকি সব বুঝা
যায়; সত্যিই তাই, অপেক্ষা
করেছি শুভমুহুর্তের আসে
যদি সুখ, অপেক্ষা সেই
সময়ের! অপেক্ষার প্রহর
গুনে কখন যে মা হলাম,
প্রিয় সন্তানকে আঁকড়ে ধরে
আবার অপেক্ষা যদি সুখ
ছুঁয়ে দেখতে পাই! একটুতো
অপেক্ষা! স্বপ্ন দেখতে তো
বাধা নেই অপেক্ষা স্বপ্ন
দেখায়।

সবকিছু বন্ধক রেখে সত্যিই
কি সুখ ছুঁয়ে দেখা যায়?
প্রশ্নের জন্ম হয় প্রতিনিয়ত
কিন্তু উত্তর জানা নেই!
স্বামীর চাপিয়ে দেয়া সংসারে
সুখ তো সোনার হরিণ;
অপেক্ষা যদি এই কুঁড়েঘরে
আসে সুখ, আমিতো মা;
জননী অপেক্ষা সেতো
আমারই, রাত এলে আলো
আসে এই ঘরে আমি চাঁদ
দেখি কখনো অবগাহন করি
চাঁদের আলোয়।

সমাজ তার লোকলজ্জা যেন
পাষাণ তবুও স্বপ্নকে ধরতে
চেয়েই বিলিয়েছিল সমস্ত
এইযে অপেক্ষা সুখকে ছুঁয়ে
দেখার আকুতি সবই মানতে
মানতে এখন আমি একা;
কেউই নেই শুধুই একা মা
ভাই এবং তার বৌ সবাই
আমাকে দেখে রাখতে চাইছে
কিন্তু তবুও একাই শুধু একা,
জীবন এবং মৃত্যুর মাঝখানে
তবুতো স্বপ্নকে নিয়ে
আমাদের বসবাস,
মাঝেমাঝে ভাবনার
অলিগলি পার হয়ে তবু কেন
একা? কেন একাকিত্ব গিলে
খায় সমস্ত।

এখনো স্বপ্ন দেখি অপেক্ষা
প্রগাঢ় একটা স্বপ্নের,
সোনালী দিন অনিন্দ্য
প্রকাশে নিজের আত্মপ্রকাশ,
একা নই আমি আমিও
পিছিয়ে পরা সমাজের অংশ
নিজেকে কেন থামিয়ে
রাখবো? এগিয়ে যেতেই হবে
প্রগতির পথে, জানি এইপথ
পিচ্ছিল হ্যাঁ এগিয়ে যাব
নিজেকে আর একলা না
ভেবে, যুদ্ধ জয়ের সংগ্রামে
ফিরে পাওয়ার আত্মবিশ্বাসে।



__________
লালমনিরহাট
২১.০৫.২০২৪