সবই দিয়েছি একাত্তরে যদি বলো তোমাদের চাওয়া শেষ হয়নি তবে দিয়ে দেবো আমার দীর্ঘশ্বাসের শেষ শব্দ; সত্যি বলছি আর দেবার কিছুই নেই।
প্রিয়তম পিতা গেল যুদ্ধে মাকে নিয়ে গেল হানাদার, ছোট ভাইটা পুকুরের জলে পড়ে মারা গিয়েছে! আর আমি ধর্ষিতা নারী।
সম্ভব নিয়ে গেল সেই চেনা মানুষগুলো যারা মায়ের হাতে খেতে চাইতো রান্না; মাকে একাত্তরের আগে এরাই কত যে সম্মান করতো! এখন বুঝি সেইসময়ের কথা সত্যিই কি ওরা মাকে সম্মান করতো? লোক দেখানো ভালোবাসা আজ বুঝি।
আমারও একটি ভালোবাসার ঘর ছিল মা বাবা ভাইবোন নিয়ে সেটি সাজানো, এখন আর কিছু নেই শুধু আমি একজন ধর্ষিতা আমার ঘর নেই, নেই আপন সংসার।
আমি এবং আমরা কখনো কি মানুষ ছিলাম? কেন জানি নিজে নিজেকে প্রশ্ন করি কিন্ত উত্তর জেনেও যেন জানিনা; এটাই সত্যি চিরন্তন সত্যি আর রইলো বাকি মনুষ্য সেও খোয়া গেছে কবে সেও জানা নেই।
শত শত বছরের সংগ্রাম হাজার বছরের ইতিহাসে নিজেকে খুঁজি খুঁজি বাঙলা এবং বাঙালি; এখন আর স্বপ্ন দেখিনা কোন স্বপ্নে নিজেকে বাধিনা আমি এবং আমরা একা বড়ই একা।
দীর্ঘশ্বাসের শব্দ এখন একাই শুনি নদীর মতো মিশে যেতে সমুদ্রে যার পরিসমাপ্ত খুবই জরুরি কবি ও কবিতার উচ্চারিত শব্দে স্বাধীনতা খুঁজেছিলাম সেও এখন নেই; মোহনার শব্দ গুলো বড়োই বিষাদে, নিজের সব প্রশ্ন উত্তর চাওনা তুমি ফিরে যাও স্বাধীনতা এখন তোমার আর কোন প্রয়োজন আছে কি?
------------