প্রতিদিনের সামনে আমি দরজা খুলে রাখো
কি কি লাগবে বলো আমায়, রান্না ঘরটা দেখো।
আরে আগে আসো তুমি, লাগবেনা’তো কিছু
সোজা চলে আসবে কিন্তু চাইবেনাতো পিছু।
দরজার ঐ ফোকর খানায় চোখ রাখি বার-বার
কান দু’টোও সজাগ থাকে পদধ্বনীর তার।
হাত দু’টি তার রয়’গো নুয়ে নিত্য দিনের ভারে
এ ছোট্ট নীরের সকল দায় জরিয়ে ধরে তারে।
নারকেলের ঐ পাপোস খানায় স্পর্শ করে পা
মান-অভীমান লুকিয়ে ছিল পালিয়ে গেল তা।
লতা যেমন জড়িয়ে থাকে ঐ বৃহৎ গাছের পর
চোখের উপর চোখটি রেখে স্বপ্নে বাধি ঘর।
হাজার প্রহর পার হয়ে যায় নেই তো খাওয়া ঘুম
এক জীবনের হংস মিথুন সাতার কাটার ধুম।
স্বপ্ন-সুখে নীল আকাশে বিভোর হয়ে যাই
চোখ হলো চোখের খুনি সাক্ষি কোথা পাই।
ক্লান্ত দেহ, শ্রান্ত মন, তবু সুখ দেয়’গো ধরা
আমরা দু’জন জেগে আছি, অন্য সবাই মরা।


ওঠো খাবে চলো, ডিম ভূনা-আলুভাজি আর ডাল
আমার কিন্তু ঘুম পাচ্ছে খুব, অফিস আছে কাল।
আহা বোসোনা, আরেকটু ঝুকে বোসো, দেখি কিছুক্ষণ
যেওনা প্লিজ, হৃদয় ঘরে চোর ঢুকেছে ব্যাকুল করে মন।
আহা্ ঢং দেখলে জ্বালা করে গাঁ, অনেক আছে কাজ
বুড়ো ধাড়ি করে শিশুর মত, নেই’তো কোনো লাজ।
নাহ্ আমার নেইকো লাজ, তাতে তোমার কি বলো?
লতার মতো জড়িয়ে আছি আমায় নিয়ে চলো।
এমনি করে প্রেমের ডোরে জড়িয়ে ধরি তাকে
রাগের চাদর ছড়িয়ে দিয়ে স্নেহের হাসি ঢাকে।
আচ্ছা..আচ্চা বাবা আর করবোনা এই ধরেছি কান
একটু হাসো, একটু তাকাও ভাঙো তোমার মান।
তুমি যদি নাখাইয়ে দাও, খাবনা কিন্তু আগেই বলে রাখি
সব খাবার যে পরেই রবে দাওনা রেখে ঢাকি।
এক প্লেটে দু’জন খাবো সব মেখে নাও ভাত
দু’মুখেতে চলবে খাওয়া কিন্তু একটি হাত।
কি মমতায় কি আদরে উদরপূর্তি করি
লুকোচুরি- হুটোপুটি সারা রাতটি ধরি।
এমনি করে রাত কাটিয়ে আসে সোনার দিন
মোদের ঘরে বাঁজতে থাকে স্বপ্ন সুখের বীন।


ঝর্ণা জলে শালিক যুগল ভিজে একাকার
ঘড়ির কাটা ঘুরতে থাকে নেইতো খবর তার।
কর্ম জীবন ব্যাস্ত কাটে সময় বিরাম হীন
যতদূরে রইনা কেন তবু কাছেই সারা দিন।
ইথার মোদের এক করে দেয় ইচ্ছে যখন জাগে
কষ্ট-ব্যাথা দূর হয়ে যায় ভালবাসার ফাঁগে।
একফোটা ক্ষণ হইনা আড়াল রইনা যতদূর
যতই আসুক ঝড় ঝাপটা মনে প্রেমের সুর।
খেয়েছো কি? কি করছো ? একই প্রশ্ন হয়
দেহ দু’টি ভিন্ন আছে, আত্মা পৃথক নয়।
হ্যালো শুনছো আমি বের হচ্ছি, তোমার হল ছুটি?
হীরাঝিলের গ্রিল নিয়েছি, সঙ্গে নিলাম রুটি।
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে গো রইল আমার মনে
রাখছি এখন, দেখা হবে ছোট্ট নীড়ে তোমার আমার সনে।
ছোট্ট ঘরে থাকনা অভাব ভাঙ্গুক যতই বুক
আমরা দু’জন খুঁজে ফিরি দু’জনাতেই সুখ।
হন্যে হয়ে সুখ খুঁজলে যায়না পাওয়া তারে
একে-অন্যের দুঃখ গুলো নেই’গো তুলে ঘাড়ে।
মোদের ঘরে লেগেই থাকে পূর্ণ চন্দ্রের আলো
আসুক যতই দুঃখ দৈন্য তবুও বাসি ভালো।