বরফ ঢাকা পথ দিয়ে হাটছিলাম আমরা দু'জন
সে পথও শেষ হল সূর্য্যের আগমনে
আমরা বলতে, আমি আর অদ্ভুত।
অদ্ভুত নামটা আমিই ওকে দিয়েছি অদ্ভুতভাবে
আমার দেখা এক জীবন্ত অদ্ভুত ও।
শীতল পথের ইতি হল এক মরুপ্রান্তরের পাদপদ্মে
আমরা নগ্নপায়ে মরুভুমির হৃদয়ে পথ রচনায় লেগে পড়ি।
প্রথমে আমি খানিকটা ভুল করে ফেলি-
আর অদ্ভুত সেটা শুধরে দেয়।
আমরা হাতে-হাত রেখে, চোখে-চোখ রেখে
মরূদ্যানের উত্তপ্ত বালুতে কল্পনার জলকৈলি করছি।
অদ্ভুত, সেতো সত্যিই অদ্ভুত !
সবচাইতে অদ্ভুত লাগে ও যখন আমার নাম ধরে ডাকে
একটু পিছিয়ে পড়তেই কি যে মায়াবী কন্ঠের আহ্বান !
আমার সমস্ত অন্তরাত্মা বিগলিত হয়ে যায়,
আমি ডুব দিয়ে আত্নহনন করি ভাব সাগরের অথৈ জলে।
আমরা ছুটছি আর বালুপথ রচনা করছি আপন মনে
কখনো অদ্ভুত আগে চলে যায়, কখনো বা আমি।
হঠাৎ অদ্ভুত পিপাসার্ত হলে-
থমকে যায় আমাদের পথ রচনা
সূর্য্য তার লালাভ রঙ ছড়িয়ে জানান দেয় অস্তমিতের
মরুর উত্তপ্ত বাতাস ঘরে ফিরছে শীতলতার জন্য।
জল হল, তৃষ্ণারও নিবৃত্তি হল --
কিন্তু অসমাপ্ত পথ হারিয়ে গেল বালুঝড়ে।
অদ্ভুত আমার হাত ধরে বলল---
চল আমরা আবার শুরু করি শুরু থেকে
এত কঠীন অদ্ভুত কথা কেবল অদ্ভুতের কন্ঠেই মানায়।
ও যে আমার প্রাণের অদ্ভুত !
ও যে আমার জীবনের অদ্ভুত !!
ওয়ে আমার সময়ের অদ্ভুত !!!